কোজাগরী পূর্ণিমার প্রসাদ হিসাবে অতিথিদের দেওয়া হবে কালা নমক চাল
কোজাগরী পূর্ণিমা উপলক্ষে ওই বিশেষ দিনের প্রসাদ হিসাবে বিশেষ অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে কালা নমক চাল। প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এই প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
বুধবার কোজাগরী পূর্ণিমা, লক্ষ্মীপুজো। পূর্ণিমা তিথি কেবল হিন্দুধর্মেই নয়, বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওইদিন আবার উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে উদ্বোধন হতে চলেছে একটি বিমানবন্দরের।
বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে কুশিনগরের মাহাত্ম্য নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ওইদিন বিমানবন্দর উদ্বোধন উপলক্ষে সেখানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন ১০০ জন বৌদ্ধভিক্ষু, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ২৫ জন বিশেষ অতিথি।
এঁদের হাতে তুলে দেওয়া হতে চলেছে বিশেষ প্রসাদ। পূর্ণিমা তিথির বিশেষ প্রসাদ। যা তাঁদের হাতে তুলে দিতে চলেছে পার্টিসিপেটরি রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন। সিদ্ধার্থনগরের এই সংগঠন বিশেষ অতিথিদের হাতে প্রসাদ হিসাবে তুলে দিতে চলেছে ১ প্যাকেট করে কালা নমক চাল।
কালা নমক চালের কথা এখন মানুষ জানতে শুরু করেছেন ঠিকই, কিন্তু এটা মনে করা হয় যে ভগবান বুদ্ধ তাঁর উপবাস ভঙ্গ করেছিলেন এই কালা নমক চালের ক্ষীর খেয়ে। যা তিনি হিরণ্যবতী নদীর ধারে বসে খেয়েছিলেন। শুধু নিজেই খাননি, তিনি তা তাঁর ভক্তদেরও খাইয়েছিলেন। আর স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন এই চালের চাষ বাড়ানোর জন্য।
কালো রং বিশিষ্ট এই চালের গুণের কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তার গুণের কারণে ক্রমশ এর চাষ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সিদ্ধার্থনগরে এই কালা নমক চালের উৎপাদন ভাল।
এই বিশেষ গুণসম্পন্ন চালের কথা যাতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য উদ্যোগী হয়েছে পিআরডিএফ। তারা চাইছে প্রসাদ হিসাবে বিশেষ অতিথিদের হাতে এই চাল তুলে দিতে পারলে তা বিশ্ব পরিচিতির ক্ষেত্রে আরও একধাপ আগুয়ান হতে পারবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা