মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান, ভাসছে দেবভূমি, কেদারনাথে আটকে ভক্তেরা
এক কথায় পরিস্থিতি শোচনীয় আকার নিয়েছে। টানা ৩ দিন ধরে বৃষ্টিতে হিমালয়ের কোলে দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের বড় অংশ জলের তলায়। কেদারনাথে আটকে পড়েছেন ভক্তেরা।
টানা ৩ দিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টিতে কার্যত নাজেহাল উত্তরাখণ্ড। উদ্ধারে নেমেছে এনডিআরএফ। সেনার ৩টি হেলিকপ্টার দুর্গম এলাকা থেকে উদ্ধারের কাজ করছে।
এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। নৈনিতালের অধিকাংশ জায়গা জলের তলায় চলে গেছে।
শহর বা গ্রামের মধ্যে দিয়ে তোড়ে জল বইছে। বহু জায়গায় হড়পা বান পরিস্থিতি ভয়ানক করে তোলে। নৈনিতালের রামগড়ে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয় মঙ্গলবার সকালে। বেশ কয়েকজন আহত হন। চন্দ্রভাগা নদীর ওপর সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না কেউ।
কেদারনাথ মন্দিরে আটকে পড়েছে অনেক ভক্ত। তাঁদের নেমে আসার উপায় নেই। সমস্যা হচ্ছে তাঁদের খাবার ও পানীয় জল নিয়েও। উদ্ধার করাও কঠিন হচ্ছে তাঁদের।
বদ্রীনাথ হাইওয়ে দিয়ে বইছে জল। গাউলা নদীর ওপর একটি ব্রিজের একটা অংশ ভেঙে গেছে। একে বৃষ্টির জল সামলানো যাচ্ছেনা, তার ওপর জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়ায় অনেক এলাকা জলের তলায় চলে গেছে। বন্ধ করা হয়েছে চারধাম যাত্রা। বদ্রীনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে একদল ভক্তকে মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয়।
এনডিআরএফ রাতদিন এক করে দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। অনেক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় থেকে ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
যার মধ্যে রয়েছে কালাধুঙ্গি, হাল্দওয়ানি, ভাওয়ালির মত জায়গা। চালথি নদীর ওপর দিয়ে একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে জলের তোড়ে ভেসে গেছে।
নৈনিতাল লেকের জল উপচে গিয়েছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও। বহু জায়গায় মানুষ খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারের কাজ চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা