আইসক্রিমে মেশানো হচ্ছিল অ্যালকোহল, বন্ধ হল আইসক্রিম পার্লার
আইসক্রিম পার্লারে এমনটা হতে পারে নাকি! কিন্তু সেটাই হয়েছে। একটি আইসক্রিম পার্লারে গ্রাহকদের অ্যালকোহল মেশানো আইসক্রিম পরিবেশন করা হচ্ছিল।
আইসক্রিম পার্লারে গিয়ে দুরন্ত সব আইসক্রিমে মন ভরাতে বহু মানুষ হাজির হন। ছোটদেরও বিশেষ প্রিয় আইসক্রিম। আইসক্রিম পার্লারে আইসক্রিমকে আরও সুস্বাদু করতে নানা ভাবে সেটি পরিবেশন করা হয়।
এমনই একটি আইসক্রিম পার্লারে কয়েকটি আইসক্রিমে মেশানো হচ্ছে অ্যালকোহল। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন কয়েকজন ক্রেতা।
এমন ভয়ংকর অভিযোগ পেয়ে সেখানে হাজির হন ফুড সেফটি দফতরের আধিকারিকরা। হানা দিয়ে তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেন অভিযোগ সত্যি। আইসক্রিমে মেশানো হচ্ছে অ্যালকোহল।
২টি আইসক্রিম ফ্লেভার ক্যারামেল কাস্টার্ড এবং ডার্ক চকোলেট-এ অ্যালকোহল পাওয়া যায়। আধিকারিকরা পার্লারের ২ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা মেনেও নেন যে স্বাদ বাড়াতে অ্যালকোহল ব্যবহার করা হচ্ছিল। আইসক্রিম পার্লার থেকে হুইস্কি ও ব্র্যান্ডির ২টি অর্ধেক খালি বোতলও উদ্ধার করেছেন আধিকারিকরা।
এই ঘটনা সামনে আসার পর আর সময় অপচয় না করে আইসক্রিম পার্লারটি সিল করে দেন আধিকারিকরা। এদিকে হানা দেওয়া আধিকারিকরা এও জানান যে শুধু আইসক্রিমে অ্যালকোহল মেশানোই নয়, ওই পার্লারে অন্য নিয়মও মানা হচ্ছিল না।
ওই আইসক্রিম পার্লারের রান্নাঘরে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা না মাথা ঢাকা রাখেন, না তাঁরা মাস্ক পরেন, আর না দস্তানা পরেন। এভাবেই চলছিল তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের অবিনাশী রোডের ওই আইসক্রিম পার্লারটি।
আপাতত পার্লার সিল করে দেওয়া হয়েছে রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে। জনপ্রিয় এই আইসক্রিম পার্লারের কাণ্ড সামনে আসতে শহরের মানুষজন কার্যত হতবাক হয়ে গেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা