তাঁদের দিয়ে প্লাস্টিক কুড়নো ও রামায়ণ পাঠ, চটে লাল শিক্ষকরা
তাঁদের দিয়ে কুড়নো হল প্লাস্টিক। পাঠ করানো হল রামায়ণ। এমন নির্দেশ জারি কেন করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা।
প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকদের প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে হবে। নোংরা প্লাস্টিক। যা সমাজ ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। সেসব প্লাস্টিক বর্জ্য খুঁজে খুঁজে বার করে শিক্ষকদেরই জমা করতে হবে।
তা বলে একটা দুটো কুড়িয়ে নিলেই হবে না। একটি ব্লকের সব স্কুল মিলিয়ে ১০০ কেজি প্লাস্টিক হতেই হবে। আর তা জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ভবনে। এমনই একটি নির্দেশ পৌঁছেছিল বাল্মীকি জয়ন্তীর আগে।
গত ২০ অক্টোবরের আগের ওই নির্দেশকে কার্যত ফতোয়া বলেই ব্যাখ্যা করেন শিক্ষকরা। নির্দেশ জানার পর হতবাক হয়ে গেলেও কিছু করার ছিলনা তাঁদের। চাকরি বাঁচাতে তাঁরা প্লাস্টিক কুড়তে নেমে পড়েন।
সেখানেই শেষ নয়, এরমধ্যে আবার বেশ কয়েকজন শিক্ষককে বেছে নিয়ে তাঁদের রামায়ণ পাঠ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাও আবার সংস্কৃতেই পাঠ করতে হবে।
সংস্কৃত ভাষায় বাল্মীকি রামায়ণ পাঠ করতে হবে একটি সালাই এলাকার সংকটমোচন ধামে। সেখানে এক বিজ্ঞানের শিক্ষককেও বাছা হয়েছিল। যিনি পরে জানান তিনি বিজ্ঞান বোঝেন কিন্তু সংস্কৃত ভাষা তাঁর জানা নেই। তবু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু একাজ তাঁর জন্য নয়।
উত্তরপ্রদেশের এটা ও ফিরোজাবাদ জেলায় এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল শিক্ষকদের জন্য। এখানে সব ব্লকে ব্লকে এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছিল ২০ অক্টোবর বাল্মীকি জয়ন্তী উপলক্ষে। কাসগঞ্জে ১৫ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বেছে নিয়ে তাঁদের দিয়ে রামায়ণ পাঠ করানো হয়।
এসব নিয়ে কার্যত ক্ষুব্ধ শিক্ষক সংগঠনগুলি। এটা তাদের কাজ নয় বলে স্পষ্ট করেছে তারা। এদিকে ভোটের আগে শিক্ষকদের এই ক্ষোভ কিন্তু উত্তরপ্রদেশে বিরোধীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা