কৃষক আন্দোলনের মুখে পিছু হঠতে হল মহারাষ্ট্র সরকারকে। রাজ্য জুড়ে ১১ দিনের কৃষক আন্দোলনের পর অবশেষে কৃষকদের ঋণমকুবের দাবি মেনে নিল সরকার। তবে সেক্ষেত্রে একটা শর্ত প্রযোজ্য-র রাস্তা খুলে রেখেছে তারা। ঋণমকুবকে দুই ভাগে ভাঙা হয়েছে। ছোট ঋণগ্রহীতাদের সরকারি ঋণমকুব হবে। আর যাদের ঋণের অঙ্ক বড় তাদের ক্ষেত্রে একটি কমিটি গঠিত হবে। ডিসিপ্লিনারি কমিটি গঠিত হবে সরকার ও কৃষকপক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে। তারাই একটা রফাসূত্র বার করবে। গত ১১ দিন ধরেই মহারাষ্ট্রে ঋণমকুবের দাবিতে কৃষকরা আন্দোলন করছেন। কখনও রাস্তায় ফসল ছড়িয়ে, কখনও দুধ ছড়িয়ে আন্দোলন অনেক ক্ষেত্রেই বৃহৎ চেহারা নিয়েছে। কার্যত মহারাষ্ট্রের কৃষকদের রাস্তায় নেমে সোচ্চার হতে দেখার পরই পথে নামেন মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়ে দেন কৃষকদের ঋণমকুব হবে। কিন্তু তাতেও কৃষকরা থামেননি। আন্দোলন অব্যাহত ছিল। ফলে এবার ঋণমকুবের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী।