হেলমেট পরে রোগী দেখলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
রোগী দেখা যেমন চলে তেমনই চলল। তাই রোগী পরিষেবায় কোনও সমস্যা হল না। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা রোগী দেখলেন মাথায় হেলমেট পরে।
রোগী পরিষেবায় কোনও আঁচ পড়ল না, আবার প্রতিবাদও করা হল। এমনই এক অভিনব পন্থার আশ্রয় নিলেন কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার। এঁরা সকলেই চিকিৎসা শাস্ত্রের পড়ুয়া।
সোমবার তাঁদের এক সহপাঠী তথা জুনিয়র ডাক্তার হাসপাতালের ত্বক বিভাগে রোগী দেখছিলেন। তখনই তাঁর ওপর একটি সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ে।
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ হাসপাতালের চারিদিক ভেঙে পড়ছে। বহুকাল আগে মেরামতি হয়েছিল। তারপর থেকে ক্রমশ ভেঙে পড়ছে হাসপাতাল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি তাঁদের সুরক্ষার দিকেও নজর দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। সোমবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা সকলে মাথায় হেলমেট পরে রোগী দেখে নীরব প্রতিবাদ জানান।
ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের সরকারি হাসপাতাল ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের ভগ্ন দশা নিয়ে আগেও অভিযোগ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার প্রতিবাদ হল অভিনব উপায়ে।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের সব অভিযোগ মিটে যাবে নতুন ভবন নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে। এই হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানেই বেশ কিছু বিভাগ তুলে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যে ঘটনা সোমবার ঘটেছে তা বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা বলে দাবি করে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি হাসপাতাল সুপার।
প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের যা অবস্থা তাতে কেবল চিকিৎসকদেরই ভয় রয়েছে এমনটা নয়, চিন্তা রয়েছে হাসপাতালে আসা রোগীদেরও।
ওপিডিতে সোমবার যে ফ্যানটি ভেঙে পড়ে সেটি ৪০ বছর ধরে সেখানে লাগানো ছিল বলে জানতে পারা গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা