সীতাকে বন্দি করে রাখা অশোকবন থেকে পাথর এল অযোধ্যায়
রাবণ সীতাকে হরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর লঙ্কায় একটি বনে তাঁকে বন্দি করে রাখেন। সেই অশোকবন থেকে একটি পাথর এল অযোধ্যায়।
আসমুদ্র হিমাচলে বিভিন্ন জায়গার কথা মহাকাব্য রামায়ণে উল্লিখিত। সেই রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুযায়ী বনবাস কালে রাম ও লক্ষ্মণের অনুপস্থিতিতে লঙ্কারাজ রাবণ সীতাকে ছলে হরণ করেন। তারপর তাঁকে নিয়ে চলে যান সমুদ্র পারে তাঁর রাজত্ব লঙ্কায়।
সেখানে একটি জঙ্গল অশোকবনে সীতাকে বন্দি করে রাখেন রাবণ। সীতাকে রাবণের হাত থেকে মুক্ত করতে রাম লঙ্কা আক্রমণ করেন।
এই কাহিনি সকলের জানা। সেই রামায়ণে তাই অশোকবনের মাহাত্ম্য যথেষ্ট। ধরে নেওয়া হয় অশোকবন রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। যা সেখানে অশোক বাটিকা নামে পরিচিত একটি পর্যটনস্থলও বটে।
শ্রীলঙ্কা থেকে আসা একটি প্রতিনিধিদল ত্রেতা যুগের সেই অশোকবন থেকে একটি প্রস্তরখণ্ড নিয়ে এলেন অযোধ্যায়। যা রাম মন্দির নির্মাণের কাজে লাগানোর জন্য উপহার দিয়েছেন তাঁরা। রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের হাতে এই পাথরের খণ্ডটি তুলে দেন শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার।
শ্রীলঙ্কার মধ্যভাগে সীতা ইলিয়া নামে একটি জায়গায় রয়েছে হাকগালা বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই বোটানিক্যাল গার্ডেনকেই রামায়ণের বিখ্যাত অশোকবন বলে মনে করা হয়। তাই তার গুরুত্ব অপরিসীম। সেখান থেকে একটি পাথরের খণ্ড আসা রাম মন্দির তৈরির যজ্ঞে আরও একটি বড় সংযোজন সন্দেহ নেই।
প্রসঙ্গত শ্রীলঙ্কার সীতা ইলিয়ায় একটি মন্দির রয়েছে দেবী সীতার নামে। যে অশোকবনে তিনি বন্দি অবস্থায় প্রতিদিন প্রভু রামের পুজো করতেন সেখানেই তৈরি হয়েছে মন্দিরটি বলে মনে করা হয়।