তরতর করে নামছে পারদ, হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় উপত্যকা মাইনাস ১৩
অক্টোবরের শেষে মাইনাস ১৩ ডিগ্রিতে নামল ভূস্বর্গের পারদ। হুহু করে পারদ নামছে উপত্যকায়। তুষারপাত এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে গেছে।
এ রাজ্যে এখন হেমন্তের পরশ। তবে ভূস্বর্গের পাহাড়ি এলাকায় এখন কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছেন মানুষজন। পারদ নেমেই চলেছে। সাদা হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। শনিবার রাতে এতটাই তুষারপাত হয়েছে যে জম্মু কাশ্মীরের দ্রাসে পারদ নেমেছে মাইনাস ১৩.৪ ডিগ্রিতে।
এমন পারদ পতন শীতের সময় দেখা যায়। এবার তা অনেক আগেই গ্রাস করেছে দ্রাসকে। লাদাখের পারদ হুহু করে পড়ছে। পারদ পড়ছে কাশ্মীর জুড়েই। এর কারণও রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে একটি দুর্বল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রবিবার থেকে প্রভাব ফেলবে উপত্যকায়। ফলে পারদ আরও পড়বে। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটি আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হবে। ফলে এখন সেখানে পারদ পড়তেই থাকবে। পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাতও অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত জম্মু কাশ্মীরে শীতের সময় পরিস্থিতি আরও শোচনীয় করে তোলে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। যা ভূমধ্যসাগর থেকে থেকে তৈরি হয়ে ইরানের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পাকিস্তান হয়ে ভারতের কাশ্মীরের প্রবেশ করে। এর জেরে তুষারপাত তীব্র আকার নেয়। সমতলে বৃষ্টি হয়।
এদিকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রভাব ফেলার পর আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ৪ নভেম্বর থেকে প্রভাব ফেলবে। যা হয়তো কাশ্মীরের দিওয়ালীকে সাদা তুষারে ভরিয়ে দেবে।
দ্রাসে মাইনাস ১৩ ডিগ্রি যখন রেকর্ড হয়েছে তখন কার্গিলে পারদ পড়েছে মাইনাস ৪.৪ ডিগ্রিতে। গুলমার্গ ০ ডিগ্রি, পহেলগাম মাইনাস ৩.২ ডিগ্রি ও শ্রীনগরে ২.৬ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে তাপমাত্রা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা