দিওয়ালীতে দেদার পেঁচা বলি বন্ধ করতে রাস্তায় নামল বন দফতর
দিওয়ালীতে পেঁচা বলি দেওয়ার রেওয়াজ আজকের নয়। এই সময় পেঁচার যোগান বাড়াতে চলে চোরাচালানও। এসব রুখতে এবার পথে নামল বন দফতর ও পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি।
দিওয়ালীতে পেঁচা বলির একটা রেওয়াজ রয়েছে গঙ্গার ধার ধরে থাকা আদিবাসী এলাকায়। এই পেঁচা বলির পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
উত্তরপ্রদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গার ধার ধরে অনেক আদিবাসী মানুষের বাস। এঁরাই সাধারণত এই পেঁচা বলি দিয়ে থাকেন দিওয়ালীর দিন। এই রেওয়াজ আজকের নয়।
মনে করা হয় লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা হল সম্পদ, ভাগ্য, শক্তি, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তাই দিওয়ালীর দিন রাতে পেঁচা বলি দেওয়া হয় মানুষের ভাগ্য ফেরাতে। তাদের সম্পদশালী করে তুলতে।
এটা একধরনের কালাযাদু। আদিবাসী এলাকার ওঝারা দিওয়ালীর দিন পেঁচা বলি দিয়ে থাকেন। এক আধটা নয়, অনেক পেঁচা বলি হয় এদিন। যা কার্যত লুকিয়ে হয়ে থাকে।
এবার বন দফতর এই পেঁচা বলি রুখতে উঠেপড়ে লেগেছে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনও। দিওয়ালীর আগেই তারা বিভিন্ন দলে ভেঙে যেসব এলাকায় পেঁচা বলির রেওয়াজ রয়েছে সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে।
সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন ও এনজিওগুলির সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে কোথায় বলি হচ্ছে বা কোথায় পেঁচা এনে মজুত করা হয়েছে তা চিহ্নিত করতে।
এবার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা যদি সত্যিই সফল হয় তাহলে বহু পেঁচার জীবন বেঁচে যাবে। রক্ষা পাবে অনেক বিরল প্রজাতির পেঁচা।
প্রসঙ্গত ভারতে ৩০ রকমের পেঁচা পাওয়া যায়। যার অধিকাংশই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার-এর লাল তালিকায় পড়ে। অর্থাৎ সেগুলি লুপ্তপ্রায় প্রাণির তালিকাভুক্ত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা