ওয়াশিং মেশিন, ট্রাঙ্ক থেকে উদ্ধার বাইকের ইঞ্জিন
ওয়াশিং মেশিনের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মোটরবাইকের ইঞ্জিন। বাইকের ইঞ্জিন পাওয়া গেল ট্রাঙ্ক থেকেও। পুলিশ হানা দিয়ে উদ্ধার করে সেগুলি।
মাত্র ১৫ মিনিট লাগবে। তার মধ্যেই একটি আস্ত চারচাকা গাড়ি পুরো খুলে তার প্রতিটি যন্ত্রাংশ আলাদা করে দিতে পারে একটি চোরদের দল। এমন দাবি অন্য কারও নয়, স্বয়ং পুলিশের।
এই দলটি কুখ্যাত হাজি গাল্লার। বাইক ও গাড়ি চুরি করে তার যন্ত্রাংশ আলাদা করায় এই হাজি গাল্লার দলবল সিদ্ধহস্ত। যারা গাড়ি ১৫ মিনিটে খুলে ফেলতে পারে তাদের কাছে বাইক তো নস্যি।
হাজি এখন গারদের পিছনে থাকলেও পুলিশ জানাচ্ছে হাজির দলবল এখনও বাইক চুরি চালিয়ে যাচ্ছে। এরা মূলত দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় চুরি করে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ মেরঠের সতীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আফজলের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১১৭টি বাইক ইঞ্জিন।
১৫০ সিসি থেকে ৫০০ সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন বাইকের ইঞ্জিনগুলি বিভিন্ন জিনিসে লাগানো ছিল। কয়েকটি বাক্সেও রাখা ছিল। এছাড়া ওয়াশিং মেশিন ও ট্রাঙ্কে ওই চুরি করা ইঞ্জিনগুলি লাগানো ছিল। যা পুলিশকেও হতবাক করে দিয়েছে।
১৩ জনের এই গ্যাংটিকে পাকড়াও করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। ইঞ্জিনগুলির মধ্যে ৭টি বাইক চিহ্নিতও হয়েছে। যার মধ্যে ৬টি দিল্লি থেকে ও ১টি হরিয়ানা থেকে চুরি করা হয়েছিল।
পুলিশ জানাচ্ছে গত ১ বছরে দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকা থেকে যত বাইক চুরি গেছে তার সব কটির খোঁজ পাওয়া মুশকিল। কারণ বাইকের যন্ত্রাংশ আয়তনে ছোট হয়। ফলে তা সহজে লুকিয়ে ফেলা যায় অনেক যন্ত্রাংশের মধ্যে। যন্ত্রাংশ সারাইয়ের বাজারে ঢুকে তা খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন কাজ। তুলনায় গাড়ির যন্ত্রাংশ বড় হওয়ায় খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা