বাইকে শুয়ে আছেন এক তরুণী, খবর পেয়ে রাস্তা আটকাল পুলিশ
বাইকে এক তরুণী শুয়ে আছেন। বাইকটি চালাচ্ছে এক যুবক। পুলিশ এমন একটা খবর পেয়ে রাস্তাতেই পথ আটকায় বাইকের। ব্যাখ্যা দিল যুবক।
একটি বাইক তাদের দিকেই আসছে। বাইকটি চালাচ্ছে এক যুবক। বাইকে শুয়ে আছেন এক তরুণী। তাঁর মাথাটা রয়েছে পেট্রোল ট্যাঙ্কের ওপর। খবরটা আসে পুলিশের কাছে। তারা তখন রাস্তায় পাহারায় ছিল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই বাইক এসে হাজির হয় তাদের সামনে। বাইকটিকে দেখা মাত্র তার পথ আটকায় পুলিশ। তারপর এগিয়ে যায় বাইকে নিথর হয়ে শুয়ে থাকা তরুণীর দিকে।
প্রাথমিক পরীক্ষার পর পুলিশ বুঝতে পারে যে ওই তরুণী আর বেঁচে নেই। তরুণীর দেহে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পাকড়াও করা হয় ওই যুবককে। তরুণীর দেহ পাঠানো হয় হাসপাতালে।
ওই যুবক পুলিশের কাছে দাবি করেছে ওই তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু অরুণা নামে বছর ২৪-এর ওই তরুণী তার সঙ্গে জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন।
ভেঙ্কটেশ্বরলু নামে ওই যুবক জানায়, তারা বাড়ি থেকে পালানো স্থির করে। সেইমত অরুণা তাঁর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন। এরপর ২ জনে বাইকে পালাচ্ছিল। কিন্তু মাঝে বাইক থেকে রাস্তায় পড়ে যান অরুণা। আঘাত লাগে তাঁর।
দ্রুত কাছের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা। সেখানে কোনও চিকিৎসক না থাকায় সেকথা বিশ্বাস করতে পারেনি ভেঙ্কটেশ্বরলু। সে দাবি করেছে যে সে অরুণার দেহ বাইকে চাপিয়ে যাচ্ছিল হাসপাতালে। তখনই পথে তাকে পুলিশ আটকায়।
ভেঙ্কটেশ্বরলু এই দাবি করলেও তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অরুণার বাড়িতে পুলিশ খবর পাঠালে বিয়ের তোরজোড়ে ব্যস্ত পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। দোষীর কঠোর শাস্তি চেয়েছে পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলার পানিয়ামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা