মৃত সাংসদের ছদ্মবেশে সরকারের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতানোর চেষ্টা
মৃত এক সাংসদ সেজে সরকারের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা হাতানোর চেষ্টা করল এক ব্যক্তি। শেষ মুহুর্তে জানতে পেরে টাকা দেওয়া বন্ধ করে প্রশাসন।
জাতীয় সড়ক চওড়া করা হবে। সেজন্য আশপাশের জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। যাঁদের জমি নেওয়া হয়, তাঁদের জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দিয়ে দেয় সরকার। এভাবেই ১১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের ৮০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সে জমি একজনেরই ছিল। তাকে জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা সরকারে।
সেই ক্ষতিপূরণ দাবি করে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় নথি পেশ করে এক ব্যক্তি। পরিচয় দেয় সেই জমির মালিক। নিজেকে একজন প্রাক্তন সাংসদ বলেও দাবি করে।
১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ এবং ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সালে রাজ্যসভায় জনতা দলের সাংসদ ছিলেন প্রেম মনোহর। ওই ব্যক্তির জমা দেওয়া নথিতে দাবি করা হয় সে প্রেম মনোহর এবং ওই ৮০ বিঘা জমির মালিক।
প্রশাসন তার জমা দেওয়া যাবতীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখে। দেখা যায় সে যে কাগজ পেশ করেছে তার সবকটি সঠিক। ফলে তার ক্ষতিপূরণের টাকা মঞ্জুর হয়ে যায়।
১ কোটি টাকার মধ্যে ৮৪ লক্ষ টাকা ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো কেবল বাকি ছিল। ঠিক সেই সময় কোনও এক ব্যক্তি এসে খবর দেন যে যে ব্যক্তিকে ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে সে প্রেম মনোহর নয়। খবর পাওয়া মাত্র টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়। শুরু হয় খোঁজখবর।
এতদিন কাগজপত্র খতিয়ে দেখে কাজ এগোচ্ছিল। এবার স্থানীয় প্রশাসন সরাসরি প্রেম মনোহরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
প্রেম মনোহরের ছেলে জানান তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেননা। এমনকি কে এই দাবি করেছে তাও তাঁর জানা নেই। তবে তিনি এটা নিশ্চিত করেন যে তাঁর বাবা ২০১৩ সালে মারা গেছেন।
এখনও যে ব্যক্তি প্রেম মনোহরের ছদ্মবেশে টাকা দাবি করেছিল তাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ। খোঁজ চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা