মৃতদের নামে লাইফ সার্টিফিকেট ইস্যু করে বেকায়দায় ২ চিকিৎসক
তাঁদের মৃত্যু হয়েছে আগেই। কিন্তু তাঁদের নামে লাইফ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছিলেন ২ চিকিৎসক। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে শুরু হল পদক্ষেপ গ্রহণ।
যাঁরা পেনশন পান তাঁদের প্রতি বছর লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। ওটাই সরকারের খাতায় তাঁদের জীবন প্রমাণ। তার ভিত্তিতেই সারাবছর তিনি সরকারের কাছ থেকে পেনশন পান।
এই লাইফ সার্টিফিকেট নিজেও গিয়ে জমা দেওয়া যায়, আর গিয়ে দেওয়ায় অসমর্থ হলে চিকিৎসক বা কোনও গেজেটেড আধিকারিককে দিয়ে ফর্ম সই করিয়ে তা জমা দিতে হয়।
তাতে প্রমাণ হয় যে তিনি বেঁচে আছেন। ফলে এই সার্টিফিকেট যাঁরা ইস্যু করছেন তাঁদের দায়িত্ব অনেক। আর সেখানেই জালিয়াতির চেষ্টা করলেন ২ চিকিৎসক।
২ চিকিৎসকই তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তাঁদের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে।
আর কৃষ্ণকুমার নামে এক ব্যক্তি গত ২০১৫ সালের জুলাই মাসে আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে ২০১৮ সালেও লাইফ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে। যা করেছেন মহিলা চিকিৎসক আর সান্থিনি।
আর কৃষ্ণকুমারের স্ত্রী সম্প্রতি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে তাঁর স্বামীর নামে জাল লাইফ সার্টিফিকেট কাজে লাগিয়ে তাঁরই সম্পত্তি বেচে দিয়েছেন তাঁদের এক আত্মীয়। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ দেখে ওই ব্যক্তি আগেই আত্মহত্যা করেছেন।
অন্য একটি ঘটনায় ২ মহিলা সম্পর্কে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয় ২০১৯ ও ২০২০ সালে। মেয়ের মৃত্যু হয় ২০১৯ সালের অক্টোবরে, মায়ের মৃত্যু হয় ২০২০ সালের জুলাই মাসে।
আর বিনোদ কুমার নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন যে মা ও মেয়ের মৃত্যু আগে হলেও তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেট ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইস্যু করেন কেপি বদ্রীনাথ নামে এক চিকিৎসক। এই ২ চিকিৎসক এখন মহাফাঁপরে পড়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা জীবনের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা