হাওয়াই চটিতে ব্লুটুথ, পরীক্ষায় নকলের কিংপিনকে দুধওয়ালা সেজে ধরল পুলিশ
সিনেমা বললেও কম বলা হয়। হাওয়াই চটির মধ্যে লুকিয়ে থাকা ব্লুটুথ আর কানের মধ্যে লুকোনো মেশিন। পরীক্ষা নকলের কারবারিকে দুধওয়ালা সেজে ধরল পুলিশ।
একটি ব্লুটুথ লাগানো থাকে হাওয়াই চটিতে। হাওয়াইতেই লুকোনো থাকে সিম সকেট, ব্যাটারি, কলিং ডিভাইস সহ অন্য যন্ত্রাংশ। তা পরীক্ষার্থীর পায়ে থাকে। হাওয়াই পরে পরীক্ষা দিতে ঢুকতেই পারে একজন। কোনও সন্দেহ করার জায়গা নেই। কারণ ব্লুটুথ নজরে পড়েনা।
এদিকে পরীক্ষার্থীর কানের ভিতরের অংশে এমনভাবে একটি শোনার যন্ত্র লাগানো থাকে যা বাইরে থেকে দেখা যায়না। ফলে তাকে ধরা মুশকিল। তবে এই বিশেষ হাওয়াই সহ পুরো সেট কিনতে পড়ে ৬ লক্ষ টাকা।
এটি কিনলে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার আগে একটি গোপন জায়গায় পরীক্ষা দেওয়া অভ্যাসও করানো হয়। পরীক্ষার্থী সেখানে সব যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা দেওয়া অভ্যাস করে দেখে।
এভাবেই রাজস্থান এলিজিবিলিটি এক্সামিনেশন ফর টিচার্স বা আরইইটি পরীক্ষায় নকল করা চলছিল। যা অবশেষে ধরা পড়ে গত মাসে। তারপর থেকেই এই চক্রের কিংপিনকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছিল পুলিশ।
একটি কোচিং সেন্টার চালানো তুলসারাম কালের কোচিং দেওয়ার আড়ালে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের এই যন্ত্র বেচার ব্যবসা চালাত। এটা জানতে পারে পুলিশ। কিন্তু তুলসারাম নিজেই আগে ৩ বছর পুলিশে কাজ করেছিল। ফলে তার জানা ছিল পুলিশ কীভাবে কাজ করে।
তাই তুলসারাম ঘনঘন বাসস্থান বদলাতে থাকে। রাজস্থানের আজমের, সিকার, যোধপুর হয়ে সে এসে লুকিয়ে ছিল জয়পুরে। সেখানেই আজমের রোডে যে বাড়িতে সে গা ঢাকা দিয়েছিল সেখানে দুধওয়ালা সেজে হাজির হয় পুলিশ।
এছাড়া বাড়ি পরিস্কার করার লোকজন, ডেলিভারি বয় সেজেও পুলিশ তুলসারামের সম্বন্ধে খোঁজ নেয়। তারপর তাকে গ্রেফতার করে। আর কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তার খোঁজ করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা