মা মারা যাওয়ার পর তাকে আর সঙ্গে রাখতে চায়নি মদ্যপ বাবা। ৮ বছরের নাবালিকা মা হারা মেয়েটিকে তখন কলকাতা থেকে দিল্লি নিয়ে যান তার কাকিমা। সেখানে যে তাকে ভাল ভাবে রাখা হয়েছিল তা নয়। অন্যের বাড়িতে কাজ করতে পাঠানো হত তাকে। চলত দৈনিক নির্যাতন। এতো তবু বোঝা গেল। তারওপর কাকার ধর্ষণেরও শিকার হতে হয় ছোট্ট মেয়েটাকে। দিনের পর দিন। এভাবে ২ বছর চলার পর আর সহ্য হয়নি মেয়েটির। কাকার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। ২০১৪ সালে ১০ বছরের মেয়েটিকে একটি বাসের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তারপর ২ বছর কেটে যাওয়ার পর আদালতে অভিযোগও দায়ের করে সংস্থা। অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ায় কাকার শাস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কমছিল। তেমন কোনও স্পষ্ট প্রমাণের অভাবে ছাড়াও পেয়ে যেত কাকা আখতার আহমেদ। কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা। দিল্লির একটি আদালতে এই মামলার বিচারক বিনোদ যাদব মামলা চলাকালীন প্রমাণ হিসাবে হাতে পান একটি স্কেচ। যা ওই কিশোরী ক্রেয়ন রং দিয়ে এঁকেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে তার হাতে কয়েকটি বেলুন ধরা রয়েছে। বাড়ি ফাঁকা। মেঝেতে পড়ে আছে তার পরনের জামাকাপড়। নগ্ন অবস্থায় সে বেলুন হাতে দাঁড়িয়ে আছে। গোটা আঁকা জুড়েই ধূসর সব রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। এই স্কেচই মোক্ষম হয়ে গেল। বিচারক জানিয়ে দেন, এই স্কেচ থেকে পরিস্কার কিশোরীর সঙ্গে বাড়িতে কেউ যৌন অত্যাচার করেছে। কাকাই যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা প্রমাণ হওয়ার পর তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।