রং হারাচ্ছে কাশীর লাল পেয়ারা, ফুল ধরল আগেভাগেই
পেয়ারার জন্য এ রাজ্যে বারুইপুরের খ্যাতি বহুদিনের। ভারতে আবার কথায় বলে কাশীর পেয়ারার কদরই আলাদা। সেখানে বিখ্যাত লাল পেয়ারা। যা ইদানিং তার রং হারাচ্ছে।
বদলে যাচ্ছে জলবায়ু। আর তার সাথে বদলে যাচ্ছে অনেক আবহমান ধারা। আবহাওয়ার বদলের সঙ্গে সঙ্গে ঋতুচক্রেও পরিবর্তন আসছে। অতিবৃষ্টি এবার দেশের অনেক জায়গার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করেছে। যেমন অতিবৃষ্টিতে এবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বিখ্যাত পেয়ারা তার ধরন কিছুটা বদলেছে। ফলে তার ফলন মার খেয়েছে।
কথায় বলে কাশীর পেয়ারা। তবে সে পেয়ারা শুধু কাশীতেই হয়না। এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এই পেয়ারার ফলন হয়। এখানে দেখা যাচ্ছে বর্ষার কারণে পেয়ারা গাছে দ্রুত ফুল ধরেছে এবার। যার জেরে ফলও সময়ের আগেই এসেছে গাছে।
এখানে পেয়ারার ফুল ধরে সাধারণত অক্টোবরের শেষে। আর ফল পাকতে শুরু করে মধ্য ডিসেম্বর থেকে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবার এখানে প্রবল ঠান্ডা।
এই ঠান্ডার কারণে পেয়ারাগুলি লাল হয়। আর তেমনই হয় তার ভুবন ভোলানো স্বাদ। যে স্বাদের জন্য এলাহাবাদী সুরখা পেয়ারা বা সফেদা পেয়ারা বিখ্যাত।
এবার সেখানেই খামতি হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই ক্রমশ কমছে লালা পেয়ারার ফলন। আগেভাগে পেয়ারা গাছে ফুল ধরায় দ্রুত গাছে ফল আসছে। ফলে শীতে যে পেয়ারা পাকত তার যে স্বাদ মন ভরিয়ে দিত তা হচ্ছেনা।
দ্রুত গাছে গাছে ঝোলা পেয়ারা স্বাদে তেমন কিছু হচ্ছে না। এখানকার বিখ্যাত লাল পেয়ারা তার স্বাদ হারিয়েছে। এমনকি ঠিকঠাক শীত না পাওয়ায় তা না তেমন লাল হচ্ছে, না তাতে সেই পুরনো স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য আবহাওয়ার পরিবর্তনকেই কাঠগড়ায় চাপাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা