National

লুকিয়ে সব দেখেছিল সে, বাবাকে একাই জেলে পাঠাল মেয়ে

লুকিয়ে সে সবই দেখতে পেয়েছিল। সেটাই বাবার অপরাধকে প্রমাণ করতে সাহায্য করল। ওই ৮ বছরের মেয়ের বক্তব্যে ভিত্তি করেই জেল হল ওই ব্যক্তির।

শুরুটা হয়েছিল একটা নেকলেসকে কেন্দ্র করে। পুষ্পা বাঈয়ের সেই নেকলেস শ্বশুরবাড়ির দেওয়া নয়। তা তিনি পেয়েছিলেন বাপের বাড়ির থেকে। একদিন সেই নেকলেস তাঁর কাছ থেকে চায় তাঁর স্বামী তোলাচা নায়ক। ভাইকে সাহায্য করতে ওই নেকলেস বেচে দিতে চায় তোলাচা।

কিন্তু বাপের বাড়ি থেকে আনা সেই নেকলেস তিনি কিছুতেই দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন পুষ্পা বাঈ। এই নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। স্ত্রীর এই নেকলেস না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না তোলাচা। এই নিয়ে চরম বচসা শুরু হয় একদিন।


সেদিন বাড়ি ফাঁকাই ছিল। তোলাচা নায়ক রাগের মাথায় একটি কুড়ুল তুলে নেয়। তারপর তা বসিয়ে দেন পুষ্পা বাঈয়ের ওপর। পুরো ঘটনাটা লুকিয়ে দেখেছিল ৮ বছরের মেয়েটা।

মাকে এভাবে বাবা হত্যা করছে দেখে সে ভয়ে শিউরে উঠেছিল। পুরো ঘটনা দেখার স্মৃতি সে ভুলতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে। তারপর পুষ্পা বাঈয়ের মৃত্যু রহস্যের কিনারা করার চেষ্টা শুরু হয়। গ্রেফতার হয় তোলাচা।


কিন্তু সেই যে হত্যা করেছে তার প্রমাণ কোথায়? এই প্রমাণ আর কোনওভাবেই পাওয়া যেত না যদিনা তার মেয়ে পুরো ঘটনা আদালতকে জানাত।

ওই ৮ বছরের মেয়েই আদালতকে জানায় কীভাবে তার বাবা তার মাকে হত্যা করেছিল। এরপর আর প্রমাণের দরকার পড়েনি আদালতের। যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হয়েছে তোলাচার। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের চামারাজানগরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button