National

পুলিশের জালে পাবলিক টয়লেটে সন্তানকে ফেলে পালানো কলেজ ছাত্রী

সদ্যোজাত সন্তানকে একটি পাবলিক টয়লেটে ফেলে গা ঢাকা দিয়েছিল এক কলেজ ছাত্রী। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতার সবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া বাবাও।

সপ্তাহ খানেক আগের কথা। বাসস্ট্যান্ডে থাকা একটি পাবলিক টয়লেট বা সাধারণ শৌচাগারে এক সদ্যোজাতকে কোলে করে ঢোকে এক কিশোরী। তারপর বেরিয়েও যায়। এদিকে টয়লেটে অন্যরা ঢুকে ওই সদ্যোজাতকে পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশে খবর যায়।

পুলিশ যখন এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। এভাবে টয়লেটে সদ্যোজাত এক শিশুকে কে ফেলে পালাল? পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর খোঁজ পায়। শুরু হয় তাকে পাকড়াও করার চেষ্টা।


বাসস্ট্যান্ডের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে ওই কিশোরীর সম্বন্ধে জানতে পারে পুলিশ। সেই সূত্র পাওয়ার পর অবশেষে তাকে ধরতে পারে পুলিশ।

পুলিশের জেরার মুখে ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক কলেজ ছাত্রী জানিয়েছে তার কলেজেই এক তরুণ পড়ে। মকবুল আহমেদ নামে ওই তরুণের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। যা ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিতে শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়।


এই সম্পর্ক থেকেই সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে কিশোরী। তারপর সন্তানের জন্মও দেয়। জন্মানোর পর সন্তানকে টয়লেটে ফেলে আসে সে।

পুলিশের অনুমান লোকলজ্জার ভয়েই এই কাজ করে ওই কিশোরী। তাকে গ্রেফতার করে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ওই সদ্যোজাতের পিতা ও সবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া ১৯ বছরের মকবুলকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের কারওয়ার শহরে।

সেখানেই একটি বাসস্ট্যান্ডের টয়লেটে পাওয়া যায় ওই শিশুকে। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে ওই শিশুটির কীভাবে মৃত্যু হল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button