ভাল নম্বর দেওয়ার টোপ দিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্যতা, গ্রেফতার অধ্যক্ষ
ছাত্রীদের ভাল নম্বর পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখাত সে। তার বিনিময়ে ছাত্রীদের তার অভব্যতা মেনে নিতে হবে। অতিষ্ঠ ছাত্রীদের উদ্যোগে অবশেষে গ্রেফতার হল সেই অধ্যক্ষ।
দশম শ্রেণির ছাত্রীরাই ছিল তার প্রধান টার্গেট। তাদের পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখাত সে। ছাত্রীদের তার সাথে সহযোগিতা করতে বলত। যে ছাত্রীরা তা শুনতে চাইত না তাদের নানাভাবে শুরু হত সমস্যায় ফেলা। এমনকি স্কুলের হস্টেলে থাকা সেসব ছাত্রীদের খাবার পর্যন্ত দেওয়া হতনা। হত অন্য অত্যাচারও।
এসব দিনের পর দিন ধরে সহ্য করতে হয়েছে ছাত্রীদের। অধ্যক্ষের ইচ্ছায় সায় না দিলেই জুটত চরম লাঞ্ছনা। এভাবেই চলছিল। কিন্তু সহ্যেরও একটা সীমা থাকে।
সহ্যের সীমা পার হওয়ায় বেশ কয়েকজন ছাত্রী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি লেখে। ৮ পাতার সেই চিঠিতে তারা সবকিছু বিস্তারিতভাবে জানায়। জানায় তাদের সঙ্গে দিনের পর দিন কী চালাচ্ছে তাদের অধ্যক্ষ।
ছাত্রীদের এই অভিযোগের পর তদন্ত করে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন ডেপুটি কমিশনার। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের ইয়াদগির জেলার কিট্টুর রানি চেন্নাম্মা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে। সেখানে আবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গে এমন ঘটনা চমকে দিয়েছে অনেককে।
হায়ালাপ্পা নামে ওই অধ্যক্ষকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাকে আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পস্কো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
জেলার এসপি জানিয়েছেন, ওই অধ্যক্ষ ছাত্রীদের ভাল নম্বর পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাকে নিজের ইচ্ছামত সহযোগিতা করতে চাপ দিত। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা