২০২০-র মার্চের পর স্বস্তি দিয়ে দেশে ১৭ মাস পর সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ রোগী
সেই ২০২০ সালের মার্চে দেশে অ্যাকটিভ রোগী যেখানে ছিল এদিন সেখানে পৌঁছল দেশের অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা। যা অবশ্যই দেশবাসীর জন্য সুখবর।
২০২০ সালের মার্চ মাস। ভারতে সবে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। ২৫ মার্চ থেকে দেশ জারি হল লকডাউন। গত বছরের সেই মার্চ মাস মানুষের কাছে বিভীষিকা বয়ে এনেছিল। সেই সময় দেশে অ্যাকটিভ রোগী ছিলেন ০.৩৯ শতাংশ।
তারপর থেকে দেশে করোনা সংক্রমণের ২টি ঢেউ বয়ে গেছে। অ্যাকটিভ রোগীও তারপর থেকে ০.৩৯ শতাংশের নিচে যায়নি। বরং বেড়েছে।
এবার ৫২২ দিন পর ফের সেই অ্যাকটিভ রোগী কমে দাঁড়াল ০.৩৯ শতাংশে। যা অবশ্যই স্বস্তির খবর বয়ে আনল ভারতবাসীর জন্য। দেশে এখন মোট অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯১৮ জনে।
এখন দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কেরালা বাদ দিলে মোটামুটি অন্য সব রাজ্যেই একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। এদিন দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ২৭১ জন। যার মধ্যে কেরালাতেই ৬ হাজার ৪৬৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন।
বাকিটা গোটা দেশ মিলিয়ে সংক্রমণ সংখ্যা। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭২ জন। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ৯৯৯ জন মানুষ।
দেশে গত একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৮৫ জনের। যা গত দিনের তুলনায় অনেকটা কম। এরমধ্যে শুধু কেরালাতেই মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের। পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। মহারাষ্ট্রে করোনায় গত একদিনে মারা গেছেন ৪৯ জন। — ভারত সরকারের দৈনিক আপডেটের সাহায্য নিয়ে লেখা