মুখের কথায় কাজ না হওয়ায় মদের দোকানে ভাঙচুর চালালেন মহিলারা
মুখের কথায় কাজ হবে বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা না হওয়ায় মদের দোকানে ঢুকে ভাঙচুর করে সব তছনছ করে দিলেন মহিলারা।
মদের সাজানো দোকানের হাল দেখলে মনে হবে সেখানে কোনও ঝড় বয়ে গেছে। সব লণ্ডভণ্ড। মাটিতে ভেঙে গড়াগড়ি খাচ্ছে নানা ব্র্যান্ডের মদ। মেঝে ভেসে যাচ্ছে মদে।
সব সেলফ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভাঙা হয়েছে আলমারি, চেয়ার সহ দোকানের অন্য আসবাব। এ কাজ কোনও দুষ্কৃতি দলের নয়। আশপাশের মহিলারা একজোট হয়ে এই তাণ্ডব চালান।
প্রথমে তাঁরা ওই দোকানে ঢুকে দোকানের মালিককে দোকান বন্ধ করতে বলেন। সেই অনুরোধ রাখতে রাজি হননি দোকান মালিক।
কথায় কাজ না হওযায় এরপর ওই মহিলারা দোকানে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। ৫০ জন মহিলা মিলে কার্যত দোকানটিকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন।
ওই মহিলাদের দাবি, এই দোকান খোলা মানেই তাঁদের স্বামীরা এখানে মদ্যপান করে তাঁদের সব রোজগার শেষ করে দেবেন। ফলে তাঁরা পরিবার নিয়ে আতান্তরে পড়েন।
এতদিন দোকান বন্ধ থাকায় সেই সুযোগ তাঁদের স্বামীরা পাচ্ছিলেন না। কিন্তু এখন আবার দোকান খেলার ফলে তাঁরা ফের এই দোকানে আসা শুরু করে দেবেন। তাই এই দোকান বন্ধ রাখতে হবে।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের চিকমাগালুর জেলার মুশলাপুরা গ্রামে। এই গ্রাম সহ আশপাশের গ্রামের মহিলা একজোট হয়ে এই দোকান ভাঙচুরে শামিল হন।
তাঁদের এই দোকানে হামলায় মদত দেন স্থানীয় অনেকেই। মহিলাদের এই সাহসী পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানিয়েছেন আশপাশের গ্রামের লোকজন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা