হাড় কাঁপানো ঠান্ডা দ্রাসে, মাইনাসে শ্রীনগর, সাদা বরফে ঝলমলে উপত্যকা
ভূস্বর্গ জুড়ে এখন কনকনে ঠান্ডার দাপট। মরসুমের শীতলতম দিন দেখল শ্রীনগর। দ্রাস পৌঁছল মাইনাস ১৩-তে। ধেয়ে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ। পারদ উপর নিচ করছেনা। শুধুই নেমে চলেছে। সাদা বরফে ঢাকা পড়েছে অধিকাংশ এলাকা। পাহাড়ি এলাকাগুলিতে পুরু বরফের তলায় হারিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, প্রান্তর। তার ওপর ঝলমলে আকাশ আরও মনোরম করেছে চারধার।
দৃশ্য সুখের এমন তুলিতে আঁকা প্রকৃতি চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। দ্রাসে পারদ পতন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে পারদ নেমেছে মাইনাস ১৩.৪-এ।
কার্যত ঠান্ডায় জমে গেছে দ্রাস। কাছাকাছি পরিস্থিতি লেহ-এর। লেহতে পারদ নেমেছে মাইনাস ১০.৮ ডিগ্রিতে। কার্গিলে পারদ নেমেছে মাইনাস ৬.৮ ডিগ্রিতে। প্রতিদিনই তুষারপাত হচ্ছে এখানে।
শ্রীনগরে এদিন ছিল মরসুমের শীতলতম দিন। এখানে অবশেষে পারদ মাইনাসে পৌঁছে গেল। শ্রীনগরে পারদ রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ১.২ ডিগ্রি। অন্যদিকে পহেলগাম নেমেছে মাইনাস ৪.৭ ডিগ্রিতে। গুলমার্গ আর শ্রীনগরে একই ঠান্ডা রেকর্ড হয়েছে।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখের ওপর দিয়ে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বয়ে যাওয়ার কথা আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার। তবে সেটি খুব শক্তিশালী হবে না।
এর জেরে এই অঞ্চলে রাতের পারদ কিছুটা বাড়তে পারে। আবার সকালের পারদ কিছুটা কমতে পারে। তবে ঠান্ডার কনকনানি অব্যাহত থাকবে। পারদ তপনও চলতে থাকবে।
ফলে আরও প্রবল ঠান্ডার জন্য তৈরি থাকতে হবে ভূস্বর্গের বাসিন্দাদের। ঠান্ডার এই সবে শুরু। এখনও পড়ে আছে পুরো শীতটা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা