ভিডিও কলের ওপারে পোশাকহীন নারী, নতুন কায়দায় ফিরল সাইবার ঠগেরা
অনলাইনে নানাভাবে মানুষকে ঠকানো, বিপদে ফেলার রাস্তা বার করে সাইবার ঠগেরা। এবার তারা ফিরল একদম নতুন এক জালিয়াতির পরিকল্পনা নিয়ে।
রাত তখন ২টো বাজে। হঠাৎ বেজে ওঠে এক অধ্যাপকের মোবাইল। ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়ে তিনি দেখেন কলটা একটি ভিডিও কল। নম্বরটা অচেনা।
এত রাতে কার আবার কি হল? একটা চিন্তা নিয়েই কলটা রিসিভ করেন তিনি। আর কল রিসিভ করতেই তাঁর শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত বয়ে যায়।
ওপারে এক অচেনা তরুণী। সে সম্পূর্ণ পোশাকহীন অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিক হতভম্ব ভাব কাটিয়ে ওঠার অপেক্ষা। তার মধ্যে ওই তরুণী অধ্যাপকের সঙ্গে কথা এগোনোর সুযোগ পায়নি। অধ্যাপক কলটি কেটে দেন।
কিন্তু তার পরেই তাঁর ফেসবুক মেসেঞ্জারে বেশ কয়েকটি স্টিল ফোটো আসে। যেখানে তিনি দেখেন তাঁর ওই পোশাকহীন তরুণীর সঙ্গে ভিডিও কল চ্যাটের বেশ কিছু ছবি রয়েছে।
এর ঠিক এক ঘণ্টা পর ওই অধ্যাপকের কাছে একটি ভয়েস কল আসে। এটাও অচেনা নম্বর। তিনি কলটা ধরেন। ওপার থেকে এক অচেনা ব্যক্তি ওই অধ্যাপককে ২০ হাজার টাকা একটি পেমেন্ট অ্যাপ মারফত পাঠাতে বলে। তাও আবার ৫ মিনিটের মধ্যে।
সে আরও জানায় যে যদি সময়মত টাকাটা না পৌঁছয় তাহলে সে ওই অধ্যাপকের পরিজন, আত্মীয়, বন্ধু, চেনাশোনা সকলের কাছে ওই ছবিগুলি পাঠিয়ে দেবে।
ওই অধ্যাপক তারপর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিই বন্ধ করে দেন। ওই ফোন নম্বরটিও ব্লক করে দেন। তিনি জানান তারপর অবশ্য কোনও কল আসেনি। কোনও ছবিও শেয়ার হয়নি।
এই ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। ওই বছর ৩৫-এর অধ্যাপক দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। ঠিক এই একই ঘটনা ঘটেছে দিল্লির এক সাংবাদিকের সঙ্গেও। তিনি তাঁর ফোনই বন্ধ করে দেন।
পুলিশ জানাচ্ছে, অচেনা নম্বর থেকে কল এলে তা রিসিভ করার আগে কার কাছ থেকে তা আসছে তা যাচাই করে নেওয়া ভাল। এসএমএস করে বা হোয়াটসঅ্যাপ করে তা জেনে নিয়ে তারপর ফোন ধরা ভাল।
আর যদি অচেনা নম্বর থেকে ভিডিও কল ধরেনও তাহলে আগে নিজের ফোনের ক্যামেরা ঢেকে নিতে পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। সাইবার সেলে তা জানাতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা