গুরগাঁওয়ের একটি বারে আলাপ। সেখান থেকে প্রেম। প্রেম থেকে বিয়ে। ২০১৫ সালে দিল্লির রঘুবীর নগরের বাসিন্দা কোমলকে বিয়ে করে মনোজ কুমার। তখন মনোজের বয়স ২২ আর কোমলের ২০। প্রথম ৬ মাস সব ঠিকঠাক। তারপরই শুরু অশান্তি। সেই অশান্তি এমন পর্যায়ে গড়ায় যে কিছুদিন আগে কোমল বাপের বাড়ি চলে আসেন। যাতে স্বামী মনোজের সায় ছিলনা। অভিযোগ গত শুক্রবার আচমকাই কোমলের বাপের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় মনোজ। স্ত্রীকে বোঝায় সে সব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে চায়। কোমলের জন্য একটা সারপ্রাইজ গিফটও রয়েছে তার সঙ্গে। কিন্তু সেটা সে বাড়িতে নয়, বাইরে দেবে। স্বামীর কথায় কোমল হয়তো নতুন করে সংসার জোড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। মনোজ কোমলকে নিয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বোনতা পার্কে যায়। তারপর তাঁকে গিফট দেওয়ার জন্য চোখ বন্ধ করতে বলে। কোমল চোখ বন্ধ করেন। তারপরই জোটে ‘সারপ্রাইজ’। মারণ সারপ্রাইজ! কোমল চোখ বন্ধ করতেই তার গলায় একটি তার পেঁচিয়ে চেপে ধরে মনোজ। ক্রমশ দমবন্ধ হয়ে আসে ২২ বছরের কোমলের। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় কোমলের। স্ত্রীর মৃতদেহ পার্কের জঙ্গলেই ফেলে এক বন্ধুকে ফোন করে সব খুলে বলে মনোজ। তারপর আকণ্ঠ মদ্যপান করে। এদিকে সেই বন্ধুই পুলিশে খবর দিয়ে দেন। পুলিশ মনোজকে গ্রেফতার করে পার্কে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে ঠিক কোথায় স্ত্রীর দেহ সে লুকিয়েছে তা মদ্যপানে প্রায় বেহুঁশ মনোজ দেখাতে পারেনি। পুলিশই খুঁজে বার করে দেহ। মনোজকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।