৭ ঘণ্টা মর্গে রাখা মৃত নড়ে উঠলেন, চেঁচিয়ে উঠলেন শ্যালিকা
চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করার পর তাঁর দেহ মর্গে ফ্রিজারে রাখা হয়েছিল। ৭ ঘণ্টা পর তাঁকে বার করতেই নড়ে উঠলেন তিনি।
পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান তিনি। ফিরছিলেন বাড়ি। কিন্তু রাস্তায় একটি প্রবল গতিতে থাকা মোটরবাইকে ধাক্কা খান তিনি। ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তখন রাত। নিথর হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা শ্রীকেশ কুমারকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন রাত ৩টে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করার পর শ্রীকেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিয়ম মেনে এরপর তাঁকে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। দেহ রাখা হয় ফ্রিজারে।
খবর পেয়ে তাঁর আত্মীয়পরিজন ছুটে আসেন হাসপাতালে। ৭ ঘণ্টা মর্গে রাখার পর শ্রীকেশ কুমারের দেহ বার করা হয় মর্গের ফ্রিজার থেকে। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা এবং শ্রীকেশের পরিবারের কয়েকজন।
যেহেতু এটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা, তাই পরিবারকে দিয়ে দেহ শনাক্ত করিয়ে তাঁদের কাছ থেকে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর অনুমতিপত্রে সই করাতে হয় পুলিশকে। সেই কাজই হচ্ছিল।
এমন সময় শ্রীকেশের শ্যালিকা মধুবালা জামাইবাবুর দেহের দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে ওঠেন। তিনি বলতে থাকেন, তাঁর জামাইবাবু মারা যাননি। তিনি কিছু বলার চেষ্টা করছেন। পুলিশও হতবাক হয়ে যায় যে ওই বছর ৪০-এর ব্যক্তি জীবিত।
এই ঘটনায় অবশ্য চিকিৎসকের গাফিলতি নেই বলেই হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্তব্যরত চিকিৎসক বারবার পরীক্ষা করেই ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এটা কোও গাফিলতির ঘটনা নয়।
হাসপাতাল এই ঘটনাকে বিরলতম ঘটনার তকমা দিয়েছে। শ্রীকেশ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা