পুলিশের আবেদনে সাড়া দিল না আদালত, সায়নীর জামিন মঞ্জুর
পুলিশ তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করলেও সে আবেদনে সাড়া দিল না আদালত। জামিন পেলেন তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে খুনের চেষ্টা ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কুমন্তব্য করার অভিযোগে তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে রবিবার দিনভর জেরার পর বিকেলে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাতে থানাতেই থাকতে হয় সায়নীকে। সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। আগরতলার আদালতে পুলিশ সায়নী ঘোষকে ২ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বিচারকের কাছে। কিন্তু বিচারক তাতে সায় দেননি।
বিচারক সায়নী ঘোষের তরফে করা জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এদিন আদালত থেকে জামিন পেয়ে বার হওয়ার সময় সায়নী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারির পর ১ দিন তাঁকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় রাখা হয়। সেখানেই রাত কাটান সায়নী।
গত রবিবার সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে থানায় হাজির হন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব এবং অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু তাঁদের থানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
পুলিশ তৃণমূল নেতৃত্বের পথ আটকায়। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয় কেবলমাত্র তাঁরা সায়নী ঘোষের আইনজীবীকে অনুমতি দেওয়া হবে থানায় প্রবেশের। অগত্যা সায়নীর সঙ্গে দেখা না করেই ফিরতে হয় ৪ নেতাকে। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে এই ৪ নেতা বেরিয়ে যাওয়ার পর থানা থেকে বার করে আনা হয় সায়নী ঘোষকে। তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে এদিন গাড়িতে চড়ার সময় কিছু বলতে চাননি সায়নী।
অন্যদিকে এদিনই সকালে আগরতলা পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিমানবন্দরেই সায়নীর গ্রেফতারি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। অভিষেক দাবি করেন ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে।
সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির আঁচ পৌঁছয় দিল্লিতেও। সেখানে তৃণমূল সাংসদরা বিক্ষোভ দেখান। এদিন বিকেলে ত্রিপুরা নিয়ে আলোচনার জন্য তৃণমূল সাংসদদের তাঁর বাসভবনে ডেকে পাঠান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সায়নী ঘোষ রবিবার গ্রেফতার হওয়ার পর ত্রিপুরার রাজনৈতিক আঙিনা ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। যে আঁচ ছড়িয়েছে ত্রিপুরার সীমানার বাইরেও।