বিয়ে করতে না চাওয়ায় মেয়েকে ঘরছাড়া করলেন বাবা-মা
মেয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। এই দোষে তাকে বাড়ি থেকে বার করে দিলেন বাবা-মা। সাফ জানিয়ে দিলেন তাঁদের জন্য মেয়ে মৃত।
দেশজুড়ে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও শ্লোগান গুঞ্জরিত হচ্ছে। বাল্যবিবাহ রোধে রয়েছে আইন। কিন্তু এখনও দেশে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা দেখলে মনে হতে পারে যে এসব ভাল ভাল কথা বইয়ের পাতা আর শ্লোগানেই সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। যার বাস্তব প্রভাব এ সমাজে নেই। অন্তত এক ১৪ বছরের কিশোরীর জীবনে যা ঘটল তা সে কথাই আরও একবার প্রমাণ করল।
মেয়েটি যখন জানতে পারে যে তার বাবা-মা তার বিয়ের স্থির করে ফেলেছেন, তখন সে সাফ জানিয়ে দেয় বিয়ে সে করবেনা। এত তাড়াতাড়ি বিয়ে না করে সে পড়তে চায়।
১৪ বছরের একটা মেয়ের কাছে তো এটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু মেয়ের এই প্রতিবাদ অস্বাভাবিক ঠেকে অভিভাবকদের। রাজস্থানের উদয়পুরের ভুতিয়া গ্রামের মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বার করে দেন তার বাবা-মা। যদি সে বিয়ে না করে তাহলে তার ওই বাড়িতে কোনও জায়গা নেই বলে জানিয়েও দেন তাঁরা।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে খবর যায়। ওই ১৪ বছরের কিশোরী নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টি কমিটিকে জানায়। তাকে উদ্ধার করে কমিটি তাকে উদয়পুরের বালিকা গ্রাহ-তে নিয়ে আসে।
২ দিন পর মেয়েটির তার বাবামায়ের জন্য মন খারাপ করে। তখন কমিটির চেয়ারম্যান সঙ্গীতা বেনিওয়াল নিজে তাকে সঙ্গে করে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
সেখানে ওই কিশোরী গ্রামের কাছে ক্ষমা চেয়ে বাড়িতে থাকতে চাইলেও তার বাবা মা সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা ওই মেয়েকে আর ঘরে তুলতে পারবেননা। সমাজ তাকে মেনে নেবে না।
যখন সঙ্গীতা বুঝতে পারেন যে ওই মেয়ের আর তার বাড়িতে স্থান হবে না, তখন তাকে নিয়ে ফেরত আসেন বালিকা গ্রাহ-তে। আপাতত সেখানেই রয়েছে সে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা