স্কুল খুলতেই নতুন বিপত্তি, একের পর এক স্কুলে আক্রান্ত পড়ুয়ারা
স্কুল খোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে একথা মেনে নিচ্ছিলেন শিক্ষাবিদ থেকে অভিভাবক সকলেই। কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে পড়ুয়ারা ফিরতেই সেখানে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।
গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রছাত্রীরা গৃহবন্দি। পড়াশোনা চলেছে অনলাইনেই। স্কুলের পঠনপাঠন প্রায় ভুলতে বসা সেই পড়ুয়াকুল অবশেষে স্বস্তি পেয়েছে। দেশজুড়ে করোনার প্রকোপ কমতেই ক্রমে খুলতে শুরু করেছে স্কুল, কলেজ। পশ্চিমবঙ্গের চিত্রটাও একই।
এদিকে স্কুল কলেজের দরজা পড়ুয়াদের জন্য খুলতেই সেখানে নতুন করে দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন রাজ্যে শিক্ষাঙ্গন খোলার পর দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এতেই উদ্বেগ বেড়েছে শিক্ষামহলের। প্রশ্ন উঠছে আবার স্কুল কলেজ বন্ধ নিয়ে।
জয়পুরে গত মঙ্গলবার জয়শ্রী পেরিওয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১৮৫ জন পড়ুয়ার কোভিড টেস্ট করা হয়। তার মধ্যে ১২ জন পড়ুয়ার দেহে করোনা পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া এসএমএস স্কুলের ২ জন পড়ুয়া ও নীরজা মোদী স্কুলের ১ জন পড়ুয়া আক্রান্ত।
জয়শ্রী পেরিওয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে আক্রান্তদের মধ্যে ১ জন মুম্বই থেকে এসেছিল। একাদশ শ্রেণিতে প্রথম কোভিড ধরা পড়ে। বুধবার থেকে সমস্ত ক্লাস ফের অনলাইনে চালু হয়েছে। আবার স্কুল খুলবে আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে।
গত ১৭ নভেম্বর আড়াই বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয় কোভিডে। ৩ মাস পর এই প্রথম কোভিডে মৃত্যু জয়পুরে।
অপরদিকে ওড়িশার সুন্দরগড় জেলায় ৫৩ জন ছাত্রী আক্রান্ত হয়েছে কোভিডে। তার মধ্যে ৩১ জন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া। বাকিরা সেন্ট মেরিজ গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন স্কুলের একজন পড়ুয়া সাধারণ সর্দি কাশির অভিযোগ জানায়। করোনা পরীক্ষার পর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা