প্রেমের টানে ইউরোপ থেকে ভারতে
প্রেমের টানে মানুষ কি না করতে পারে। এক তরুণী কেবল প্রেমের টানে ফ্রান্স থেকে হাজির হলেন ভারতে। সেরে ফেললেন প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েটাও।
প্রায় ৬ বছর আগে ভারতে বেড়াতে আসেন ফ্রান্সের তরুণী মেরি লোরি হেরাল। দেশের দর্শনীয় স্থানগুলি ঘুরে দেখার সূত্রে গাইড রাকেশের সাথে পরিচয় হয় তাঁর। রাকেশ বিহারের বাসিন্দা।
ক্রমেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেরি ও রাকেশের মধ্যে। নিজের অজান্তেই রাকেশকে ভালোবেসে ফেলেন মেরি। এদিকে বেড়ানো শেষ হলে ফ্রান্সে ফিরে যান তিনি। নিজের দেশে ফিরেও রাকেশকে কিন্তু ভুলতে পারেননি মেরি।
উল্টোদিকে রাকেশেরও মন পড়ে থাকে ফ্রান্সে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ফ্রান্সে বসে ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামের কোনও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ একদমই অসম্ভব কিছু নয়।
সোশ্যাল মিডিয়াই হয়ে ওঠে বিহারের বাসিন্দা রাকেশ ও মেরির যোগাযোগের মাধ্যম। ফলে তাঁরা নিয়মিত একে অপরের সংস্পর্শে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়া মারফত।
এরই মধ্যে একে অপরকে মনের কথা জানান ২ জনে। বছর তিনেক পর মেরি রাকেশকে প্যারিসে আমন্ত্রণ জানান। মেরি চেয়েছিলেন তাঁর ভালোবাসার মানুষের সাথে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করবেন।
রাকেশ সানন্দে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তড়িঘড়ি পাসপোর্ট, ভিসা করে তিনি পাড়ি দেন ফ্রান্সে। বেশ কিছুদিন একসাথে থাকার পর রাকেশ ও মেরি ২ জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২ পরিবারও এই সিদ্ধান্তে অমত করেনি।
রাকেশের বাবা রামচন্দ্র শা জানিয়েছেন মেরি বিহারের সংস্কৃতি দেখে এতটাই মুগ্ধ হন যে এখানে এসে বিয়ে করতে চান। সেইমত ফ্রান্স থেকে পরিবার সমেত উড়ে আসেন মেরি। হিন্দুরীতি মেনে ধুমধাম করে বিয়ে হয় রাকেশ ও মেরির।
মেমসাহেব কনে দেখতে বিয়ের মণ্ডপে উপচে পড়ে ভিড়। ভিড় জমান আশপাশের গ্রামের মানুষজন। সকলেই নবদম্পতিকে আশির্বাদ করেন।
১ সপ্তাহ ভারতে থেকে প্যারিসে ফিরে যাবেন নবদম্পতি মেরি ও রাকেশ। তাঁদের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতেও এখন ভাইরাল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা