National

ডাকাতদের গলানো মূর্তির সোনার তাল থেকে জন্ম নিল নতুন গণেশ

ডাকাতে নিয়ে যাওয়া প্রাচীন গণেশ মূর্তি ফিরে পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীরা। অবশেষে তা ফেরত এল মন্দিরে। তবে একটু অন্য রূপে।

ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলে কার না আনন্দ হয়। তবে এই আনন্দ একটি পরিবার বা একটি গ্রামের নয়, পুরো রাজ্যর। যার পিছনে রয়েছে এক লম্বা ইতিহাস। সেই ঘটনা গল্পের মত হলেও আসলে কঠিন বাস্তব।

দিনটা ১৯৯৭ সালের ১৭ নভেম্বর। ক্ষেতের মাটি কোপাচ্ছিলেন এক মহিলা। এমন সময় একটি ধাতুতে ধাক্কার আওয়াজ আসে মাটির তলা থেকে। খুঁড়ে দেখতে গিয়ে তিনি দেখেন সেখানে রয়েছে একটি তামার সিন্দুক।


সেই সিন্দুকের মধ্যে ছিল দেড় কেজি ওজনের প্রাচীন এক গণেশ মূর্তি। বাক্সে মূর্তির সঙ্গে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি সোনার গয়না। এই খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা আনন্দে মেতে ওঠেন। শুরু হয় মূর্তি প্রতিষ্ঠার তোড়জোড়।

গ্রামবাসীরা একটি মন্দির নির্মাণ করেন। এই মন্দির বর্তমানে সুবর্ণ গোল্ডেন গণেশ মন্দির নামে পরিচিত। মন্দিরটি মুম্বই থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে দিব্যগড় নামে জায়গায়।


মন্দির নির্মাণের জন্য ৩ কোটি টাকার অনুমোদন দেন মন্ত্রী। যা দিয়ে এক দ্রষ্টব্য মন্দির নির্মাণ করা হয়। ক্রমশ যা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়।

২০১২ সালে গণেশ মূর্তিটি কয়েকজন ডাকাত চুরি করে নিয়ে যায়। সেই ডাকাতির ঘটনায় মন্দিরের ২ রক্ষীকে হত্যা করে ডাকাতরা। গণেশ মূর্তি চুরি হওয়ার কারণে সেই সময় রাজ্যরাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।

পুলিশ পরে ডাকাতদের গ্রেফতার করে। কিন্তু ডাকাতদের কাছ থকে কোনও গণেশ মূর্তি পাওয়া যায়নি। প্রমাণ লোপাট করতে তারা গণেশ মূর্তিটি গলিয়ে ফেলেছিল। মূর্তিটি উদ্ধার না হলেও পুলিশ গলানো সোনার তালটি উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়া সোনা দিয়ে নতুন করে গণেশ মূর্তি তৈরি করা হয়। তারপর তা ফের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে গত মঙ্গলবার। ধুমধাম করে এই মূর্তি প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button