পণপ্রথায় দাঁড়ি টানতে অভিনব উদ্যোগ, চাকরির পথে দেওয়াল হচ্ছে মুচলেকা
পণ দেওয়া বা নেওয়া সমান অপরাধ। তাই বিয়ের কথা মাথায় আসার আগেই পণের পথে দাঁড়ি টেনে দিচ্ছে এক সরকারি আধিকারিকের বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ।
চাঁদের গায়ের কলঙ্কের মতো বিয়েতে পণপ্রথা ভারতীয় সমাজের কলঙ্ক। কিন্তু এমন বহু পরিবার রয়েছে যারা পণ চাইতে এখনও দ্বিধাবোধ করেনা। অনেক যুবকও বিয়ে করার সময় তাতে সায় দেন। পরিবারের সঙ্গে তাল মেলান।
পণের কারণেই আজও অনেক মেয়ের জীবন তছনছ হয়ে যায়। এমনকি অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হয়। দেশে পণ নেওয়া বা দেওয়া নিয়ে আইন থাকলেও বাস্তব অন্য কথা বলছে।
আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পণ আদায় করছে অনেক পরিবার। এসব বন্ধ করতে এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিলেন এক সরকারি আধিকারিক।
উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের এসডিএম দেবেন্দ্র সিং তাঁর দফতরে এক নিয়ম চালু করেছেন। সেখানে সারাদিনে অনেক তরুণ হাজির হন সরকারি চাকরির আবেদন করার জন্য কাগজপত্রে সই করাতে। অনেকে হাজির হন অ্যাটেস্টেড করাতে।
দফতরে একটি মুচলেকা পত্র রাখা রয়েছে। তাতে যুবকদের লিখিত দিতে হবে তাঁরা বিয়ে করার সময় কোনও পণ নেবেন না। সেই মুচলেকায় আগে সই করলে তবেই তাঁর বাকি কাগজে সই করা হবে।
এসডিএম-র এই অভিনব উদ্যোগে কাজও হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২ জন তরুণ এই মুচলেকায় সই করে তাঁদের চাকরির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করিয়ে নিয়ে গেছেন। এই ২ জন সেনাবাহিনীতে চাকরিও পেয়েছেন।
যৌতুক নেওয়ার মানসিকতা জোর করে বদলানো সম্ভব নয়। আইন আইনের পথে চলবে। এর বাইরে এই উদ্যোগ যুব সমাজের কাছে এক নতুন বার্তা হবে। ধীরে ধীরে সমাজে এভাবে বদল সম্ভব বলেই আশাবাদী দেবেন্দ্র সিং। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা