পায়ের তলায় পাইথন, না জেনে নিশ্চিন্তে ২৫০ কিলোমিটার বাসযাত্রা
যাত্রীরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তার উপস্থিতি। ওই অবস্থায় ২৫০ কিলোমিটার বাসযাত্রা করে ফেলেন তাঁরা। তারপর যখন তার উপস্থিতি জানতে পারেন তখন পদপিষ্ট হওয়ার জোগাড়।
গুপীবাঘা জানত না যে ঘরে রয়েছে বাঘমামা। আর যখন জানল তখন তাদের মুখ চোখই গেল বদলে। ঠিক এমনই একটা ঘটনা ঘটে গেল বাস্তবে।
একটি বাস রাজস্থানের উদয়পুর থেকে মুম্বই যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। বাসযাত্রীরা তাই যে যাঁর সিটে বসে অলস সময় কাটাতে ব্যস্ত।
কেউ আধো ঘুমে, তো কেউ গান শুনছেন, কেউ আবার মোবাইলে ব্যস্ত, কেউ তাকিয়ে আছেন বাইরের দিকে। এমন করেই বাস ছুটে চলে হাইওয়ে ধরে। ২৫০ কিলোমিটার যাত্রা করে বাস পৌঁছয় আমেদাবাদের কাছে একটি জায়গায়।
সেখানে বাস থামে। একটি ধাবার সামনে বাস দাঁড় করান চালক। দীর্ঘ পথের ক্লান্তি মেটাতে খাওয়াদাওয়া করতে যাত্রীরা গা ঝাড়া দিয়ে সিট ছেড়ে ওঠেন। আর ঠিক সেই সময়ই এক যাত্রী আচমকা চেঁচিয়ে ওঠেন তাঁর পায়ের দিকে দেখে।
সেখানে শুয়ে আছে একটি পাইথন। দানবের মত চেহারার পাইথনটি যে বাসে রয়েছে তা বুঝতে পারেন অন্য যাত্রীরাও। এতক্ষণ জানা না থাকায় পায়ের তলায় পাইথন নিয়ে ২৫০ কিলোমিটার যাত্রা করে ফেলা মানুষগুলো বাস থেকে নামার জন্য এমন হুড়োহুড়ি শুরু করেন যে পদপিষ্ট হওয়ার জোগাড় হয়।
সব যাত্রী নেমে গেলেও পাইথন নড়েনি। যেমন নিশ্চিন্তে শুয়ে ছিল তেমনই থেকে যায়। যাত্রীদের মধ্যে থাকা কয়েকজন যুবক এরপর বাসে উঠে পাইথনটিকে উদ্ধার করেন। সেটিকে পাকড়াও করে কাছের জঙ্গলে ছেড়ে দেন তাঁরা। এই পুরো সময়টায় পাইথনটি কারও কোনও ক্ষতি করেনি।
মনে করা হচ্ছে উদয়পুরে বাসস্ট্যান্ডে বাস দাঁড়িয়ে থাকাকালীন যাত্রীদের আগেই পাইথনটি উঠে পড়েছিল বাসে। তারপর দিব্যি এতটা পথ বাসযাত্রা করে ফেলে সে। পাইথনটিকে জঙ্গলে ছাড়ার পর সব যাত্রী নিশ্চিন্তে সফর করেন বাকি পথটা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা