পশ্চিম থেকে ধেয়ে আসছে প্রবল ঝঞ্ঝা, তারমধ্যেই চলছে শৈত্যপ্রবাহ
শৈত্যপ্রবাহ যে স্বাভাবিক জনজীবনে প্রভাব ফেলে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পশ্চিমবঙ্গে শীতের দেখা না মিললেও ভূস্বর্গের দিকে আবার ধেয়ে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
পশ্চিমবঙ্গে এখন মানুষ দিন গুনছেন কবে আসবে ঠান্ডা। আর ভারতের ভূস্বর্গে এখন মানুষ জেরবার ঠান্ডায়। এখনও ৩ মাস টানা চলবে কনকনে শীত। এর মধ্যেই তাঁদের জেরবার হওয়ার জোগাড় হয়েছে।
টানা বেশ কিছুদিন কাশ্মীর ও লাদাখের আবহাওয়া ছিল ঝলমলে। ফলে পারদ পতন ছিল অব্যাহত। প্রতিদিনই উপত্যকায় পারদ পতন দেখা গেছে। তুষারপাত হয়েছে প্রতিদিন।
নভেম্বর জুড়েই প্রায় এমন আবহাওয়া থাকবার পর গত কয়েকদিনে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বা তার বেশি নিচে নেমে গেলে তখন সেখানে শৈত্যপ্রবাহ হয়।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর বরফের পুরু চাদরে উপত্যকার মানুষের হাল বেহাল। এর মধ্যেই আবার কাশ্মীরের দিকে ধেয়ে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ধেয়ে আসা মানেই কাশ্মীরে বৃষ্টি ও তুষারপাত বেড়ে যাওয়া। আবহাওয়া বদলে আকাশ মেঘে ঢেকে যাবে। সমতলে শুরু হবে বৃষ্টি, আর পাহাড়ি এলাকায় হবে তুষারপাত।
টানা ঝলমলে আবহাওয়া পাওয়ার পর শুক্রবার থেকেই বদলে যেতে চলেছে সেখানকার আবহাওয়া বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
শুক্রবার সন্ধে থেকেই সেখানে বৃষ্টি ও তুষারপাত শুরু হওয়ার কথা। পরিস্থিতি সবচেয়ে শোচনীয় হবে ডিসেম্বরের ৫ তারিখ অর্থাৎ রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এলে কিন্তু ঠান্ডা সামান্য হলেও কমতে পারে।
দ্রাসে এদিন পারদ নেমেছিল মাইনাস ১১.৮ ডিগ্রিতে। এছাড়া লেহ-তে সর্বনিম্ন পারদ রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ৬.৩ ডিগ্রি, কার্গিল মাইনাস ৭.৯ ডিগ্রি, শ্রীনগর মাইনাস ১.৮ ডিগ্রি, পহেলগামে মাইনাস ৪.২ ডিগ্রি, গুলমার্গ মাইনাস ১.৫ ডিগ্রি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা