ক্লাসে ঢুকে পড়ল লেপার্ড, হাড় হিম হয়ে গেল ছাত্র শিক্ষক সকলের
ক্লাস চলছিল। সে সময় যে শিক্ষাঙ্গনে এক লেপার্ড ঢুকতে পারে তা কল্পনার অতীত। কিন্তু সেটাই হল। ফলে আতঙ্ক ছড়াল শিক্ষক থেকে ছাত্র সকলের মধ্যেই।
বেশ চলছিল ক্লাস। শিক্ষকরা ক্লাসে পড়াচ্ছিলেন ছাত্রদের। পড়ুয়ারাও মন দিয়ে ক্লাস করতে ব্যস্ত। এমন সময় সকলকে চমকে দিয়ে একটি ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ে একটি লেপার্ড। পড়াশোনা ওঠে লাটে।
প্রাথমিক হতভম্ব ভাব কাটতেই শিক্ষক থেকে ছাত্র সকলের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমস্রোত নেমে যায়। এ যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুর সঙ্গে সামনাসামনি দেখা।
এদিকে কলেজে লেপার্ড ঢুকেছে সে খবর দ্রুত প্রশাসনকে জানানো হয় কলেজের তরফে। প্রশাসন তা দ্রুত জানায় বন দফতরকে। বন দফতরের কর্মীরা লেপার্ডকে পাকড়াও করার সব সরঞ্জাম নিয়ে দ্রুত হাজির হন কলেজে।
ততক্ষণ যেন এক একটা ক্ষণ এক একটা যুগের মত কেটেছে শিক্ষক, ছাত্র ও অশিক্ষক কর্মচারিদের মধ্যে। প্রাণ হাতে করে তাঁরা শুধু ইষ্টনাম জপেছেন।
উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার চৌধুরি নিহাল সিং ইন্টার কলেজে ঘটনাটি ঘটে। কলেজে পৌঁছে প্রথমে সেখানে উপস্থিত সব শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারি ও পড়ুয়াদের কলেজ চত্বর থেকে সুস্থ ও সুরক্ষিতভাবে বার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন বন কর্মীরা।
তারপর তাঁরা সব প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে ঢোকেন লেপার্ডকে পাকড়াও করতে। ৬ বছর বয়স্ক লেপার্ডটি তখন এই ক্লাস ওই ক্লাস করে বেড়াচ্ছে।
বন কর্মীরা লেপার্ডটিকে পাকড়াও করার জন্য প্রথমে পরিকল্পনা স্থির করেন। কারণ লেপার্ডটিও পালানোর পথ খুঁজছে। এই অবস্থায় দুম করে তাকে পাকড়াও করার চেষ্টা করলে প্রাণিটির আঘাত লাগার সম্ভাবনা ছিল।
প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে বন কর্মীদের পাতা ফাঁদে পা দেয় লেপার্ড। একটি ক্লাসঘরে চেয়ারের কোণায় লেপার্ডটি লুকিয়ে থাকাকালীন ঘরের দরজা প্লাইউড দিয়ে বন্ধ করে দেন বন কর্মীরা। তারপর এক ঘুম পাড়ানি ইঞ্জেকশন দিয়ে তাকে কাবু করা হয়।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন খাবারের খোঁজে লেপার্ডটি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছিল। তাঁরা মনে করছেন সকালে ক্লাস চলাকালীন তার দেখা মিললেও সে কলেজে ঢুকেছিল রাতেই।
তারপর সকালে সে কোথাও ঘাপটি মেরে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে বার হয়ে একটি সিঁড়ির কাছে আসতেই তাকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা