পাহাড় থেকে এবার সমতলেও বইতে শুরু করল বরফ ঠান্ডা হাওয়া
পাহাড় থেকে এবার সমতলেও বইছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। বরফ ঠান্ডা হাওয়ায় কাঁপছে ২ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমতল। সমতলে এমন ঠান্ডা হাওয়া জনজীবনে প্রভাব ফেলেছে।
ভূস্বর্গের পাহাড়ি উপত্যকায় কনকনে ঠান্ডা সেই অক্টোবর থেকেই জেঁকে বসেছে। সঙ্গে বরফ পড়াও শুরু হয়েছে নভেম্বর থেকে। যা এখনও অব্যাহত। ঝলমলে আবহাওয়ায় রাতের পারদ নামছে। তুষারপাত হচ্ছে প্রতিদিন।
গোটা উপত্যকার পারদই এখন মাইনাসে রয়েছে। কিন্তু যখন জম্মু কাশ্মীর বা লাদাখের পাহাড়ি অঞ্চল বরফের তলায় থাকছিল, তখন সমতলে পারদ ঘুরছিল ৫-৬ থেকে ৯-১০ ডিগ্রির আশপাশে। ফলে সেখানে বরফের দেখা ছিলনা। কেবল ঠান্ডা ছিল।
এবার সেই সমতলেও কনকনে ঠান্ডা হাওয়া জেঁকে বসছে। পাহাড়ি এলাকায় টানা তুষারপাত ও শৈত্যপ্রবাহ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে সেই কনকনে ঠান্ডার দাপুটে হাওয়া পৌঁছে যাচ্ছে সমতলেও।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট না থাকায় পারদও নিচে নেমেই চলেছে। শ্রীনগরের পারদ রয়েছে মাইনাস ০.৪ ডিগ্রিতে। পহেলগামে পারদ নেমেছে মাইনাস ৩.৪ ডিগ্রিতে। গুলমার্গে নেমেছে মাইনাস ৬ ডিগ্রিতে।
দ্রাসে পারদ আরও নেমে পৌঁছে গেছে মাইনাস ১৪.৫ ডিগ্রিতে। লেহ শহরে পারদ নেমেছে মাইনাস ৮.৭ ডিগ্রিতে। অন্যদিকে কার্গিলে পারদ পতন হয়ে ঠেকেছে মাইনাস ৬.৮ ডিগ্রিতে।
মাঝে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে পারদ পতন কিছুটা থমকে গিয়েছিল। বৃষ্টি হয় সমতলে। তবে সেসব কাটিয়ে এখন ফের ঝলমল করছে জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখের আকাশ।
ফলে আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আরও ঠান্ডা বাড়বে। রাতের পারদ আরও নিচে নামবে। অব্যাহত থাকবে তুষারপাতও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা