উপত্যকায় বইছে বরফ ঠান্ডা হাড় কাঁপানো হাওয়া, দ্রাসে পারদ নামল মাইনাস ১৭তে
এবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট তেমন এখনও নেই। ফলে ঠান্ডা বেড়েই চলেছে উপত্যকা জুড়ে। পারদ পতনও অব্যাহত রয়েছে। দ্রাস সহ সব জায়গার পারদই এখন নামছে।
কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে ঠান্ডার দাপট শুরু হয়েছে অনেকদিন। সেই অক্টোবরের শেষ থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে পাহাড়ে। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে কাশ্মীর জুড়ে। তুষারপাতও তাল মিলিয়েই হয়ে চলেছে।
রাতের দিকে তুষারপাত আর সকালে ঝলমলে রোদে ধবধবে সাদা বরফে ছেয়ে যাওয়া রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, গাছপালা প্রকৃতিকে এক অন্য রূপে সাজিয়ে তুলছে।
এদিকে কাশ্মীর জুড়েই চলছে শৈত্যপ্রবাহের দাপট। বরফের মত ঠান্ডা কনকনে হাওয়া বইছে। যা হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে মানুষের। গরম পোশাকেও ঠান্ডা যেন বাঁধ মানছে না।
এত ঠান্ডার মধ্যে আবার পারদ পতন অব্যাহত রয়েছে। পারদ নেমেই চলেছে। দ্রাসে এই মরসুমে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা রেকর্ড হয়েছে শনিবার। সেখানে পারদ নেমেছে মাইনাস ১৭.৮ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিস কিন্তু জানাচ্ছে এখানেই থামবে না। বরং পারদ আরও নামবে।
দ্রাসে যখন পারদ মাইনাস ১৭ পার করেছে তখন লেহ শহরে পারদ নেমেছে ১৫.৩ ডিগ্রিতে। অন্যদিকে কার্গিলে পারদ নেমেছে মাইনাস ৯.১ ডিগ্রিতে। দ্রাস হোক বা লেহ, এখানকার লেকগুলিও বরফ হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে পাহাড়ে যখন এমন পরিস্থিতি তখন শ্রীনগরে পারদ নেমেছে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে। এটাও শ্রীনগরে এই মরসুমে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা।
পহেলগামে পারদ নেমেছে মাইনাস ৩.৮ ডিগ্রিতে। গুলমার্গে পারদ নেমেছে মাইনাস ৪.২ ডিগ্রিতে। এই ঠান্ডা কমার কোনও সম্ভাবনা এখন নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা