National

স্কুলের পোশাক বদলে দিতে পারে আড়াই লক্ষ মানুষের জীবন

স্কুল মানেই তার জন্য নির্দিষ্ট পোশাক বিধি থাকবে। এটাই রীতি। এবার সেই রীতিকে সামনে রেখেই আড়াই লক্ষ মানুষের জীবন বদলের প্রস্তাব পেশ করল একটি সংস্থা।

স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা যেকোনও পোশাক পরে যেতে পারেনা। তার জন্য নির্দিষ্ট পোশাক বিধি থাকে। যাকে ইউনিফর্ম বলা হয়। যা সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

এবার আসা যাক অন্য দিকে। ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের রাজ্য তামিলনাড়ুর সর্বাধিক মানুষের জীবিকা কৃষি কাজ। তার পরেই সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজ করেন তাঁতশিল্পে। কিন্তু একটানা বৃষ্টি, করোনা পরিস্থিতি কার্যত তাঁত শিল্পীদের জীবিকাকে শেষ করে দিয়েছে।


বহু তাঁত শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার তাঁত শিল্পী আর্থিক দৈন্যতায় পরিবার নিয়ে ধুঁকছেন। এ কাজ করে অর্থের মুখ দেখা এখন তাঁদের কাছে অলীক কল্পনা।

ফলে অনেকে অন্য পেশা বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় তামিলনাড়ুর এই তাঁতশিল্প ও শিল্পীদের বাঁচাতে রাজ্যসরকারকে এক নয়া প্রস্তাব দিল একটি সংস্থা।


তাদের প্রস্তাব সরকার যদি সব স্কুলে ইউনিফর্ম হিসাবে কেবল তাঁতবস্ত্র চালু করে তাহলে এই তাঁত শিল্পীরা অনেকটা এই চরম দৈন্যতা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

Weaver
ফাইল : তন্তুবায়, ছবি – আইএএনএস

আর ইউনিফর্ম তো স্কুলে লাগবেই। ফলে তাঁত শিল্পীদের বোনা পোশাকের চাহিদাও কমবে না। সেক্ষেত্রে সব স্কুলে তাঁতবস্ত্রের ইউনিফর্ম কেনা বাধ্যতামূলক করে দিতে হবে তামিলনাড়ু সরকারকে।

সিপিডিএস নামে ওই সংস্থা জানাচ্ছে তামিলনাড়ুতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে মোট ১ কোটি ২৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। আর তাঁত শিল্পী রয়েছেন আড়াই লক্ষ।

এই ১ কোটি ২৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর স্কুলের পোশাক যদি ওই তাঁত শিল্পীদের ঘর থেকে যায় তাহলে তাঁরা অনেকটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। বাঁচবে তাঁদের পরিবার। বাঁচবে তাঁতশিল্পও।

এখন তামিলনাড়ু সরকার এই প্রস্তাব নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের তামাম তাঁত শিল্পী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button