সাদা বড়দিনের আশায় দিন গুনছে ভূস্বর্গ, দ্রাস মাইনাস ১৮
ভূস্বর্গে সাদা বড়দিন বারবার হয়না। এবার সেই পরিস্থিতি প্রায় তৈরি হয়ে আছে। আরও আশার আলো উজ্জ্বল করেছে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।

চলতি বছরে দেশের ভূস্বর্গ বলে খ্যাত কাশ্মীরে তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে নভেম্বর থেকেই। আবহাওয়ার ঝলমলে রয়েছে এবার। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট দেখতে হয়নি শীতের কাশ্মীরকে। ফলে আবহাওয়া ঝলমলে। রাতের পারদ তার জেরে পড়ছে।
নিত্য তুষারপাত চলছে। পারদ নিচে নামছে। সাদা হয়ে আছে ফির, চিনারের বন, গহন উপত্যকা, বাড়ি ঘর, রাস্তা ঘাট। কেউ যেন ছবি এঁকে দিয়েছে।
এদিকে প্রতিবছর যে এমন আবহাওয়া থাকে তেমনটা নয়। তাই এবার শ্বেতশুভ্র বড়দিন কাটানোর আশায় দিন গুনছেন কাশ্মীরবাসী এবং পর্যটকেরা।
এমনিতেই উপত্যকা জুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। কনকনে বরফের মত ঠান্ডা হাওয়া হুহু করে বইছে। এরমধ্যেই আবার আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ অর্থাৎ বড়দিন পর্যন্ত কাশ্মীর ও লাদাখে শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে প্রবল তুষারপাত হবে।
সাদা হয়ে যাবে গোটা ভূস্বর্গ। ফলে হিমাঙ্কের নিচে থাকা ভূস্বর্গে এক দুর্দান্ত সাদা বড়দিন কাটানোর সুযোগ পাবেন সকলে।
প্রবল শৈত্যপ্রবাহের জেরে দ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে গোটা কাশ্মীর জুড়েই পারদ পতন অব্যাহত রয়েছে। দ্রাসে পারদ নেমেছে মাইনাস ১৮. ১ ডিগ্রিতে। লেহ শহরে পারদ নেমেছে মাইনাস ১২.১ ডিগ্রিতে।
অন্যদিকে কার্গিলে পারদ নেমেছে ১১.৬ ডিগ্রিতে। শ্রীনগরে সর্বনিম্ন পারদ রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ৩.৮, পহেলগামে মাইনাস ৫.৫ এবং গুলমার্গে মাইনাস ৮.৬ ডিগ্রি।
এদিন মরসুমের শীতলতম দিন দেখেছে জম্মু শহরও। সেখানে পারদ নেমেছে ৪ ডিগ্রিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা