ক্ষেত থেকে মিলল প্রাচীন মুদ্রা, ছাত্রীর আবিষ্কারের হাত ধরে শুরু খননকাজ
ক্ষেত জমিতে চাষাবাদ চলে সারা বছর। কৃষকের মেয়ে তাঁদের জমিতেই পেল প্রাচীন মুদ্রার খোঁজ। তারপর তার বিরল আবিষ্কারের পথ ধরেই সেখানে খনন শুরু করল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।
বাবা পেশায় কৃষক। মেয়ে একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তবে স্কুলের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। তারা সেখানে তাদের ছাত্রীদের প্রাচীন মুদ্রা ও প্রাচীন মাটির বাসনপত্র চেনাতে শেখায়। সেখান থেকেই হাতেখড়ি হয়েছিল ওই ছাত্রীর। তা থেকে একটা ধারনাও তৈরি হয়েছিল প্রাচীন জিনিস সম্বন্ধে।
একদিন তার বাবা ক্ষেতে লাঙল চষছিলেন। এমন সময় মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসে ৩টি প্রাচীন মুদ্রা। মুদ্রাগুলি ওই কৃষক মেয়েকে দেখান। মেয়ে দেখেই বুঝতে পারে এ মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম। সেগুলি প্রাচীন চোল রাজত্বের মুদ্রা।
সেইসঙ্গে এটাও বুঝতে পারে যে এই মুদ্রা যখন এখানে পাওয়া গিয়েছে তখন এখানে খননকার্য চালাতে পারলে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যেতে পারে।
তামিলনাড়ুর থিরুপুল্লানির বাসিন্দা মুনিশ্বরী নামে ওই ছাত্রী মুদ্রা ৩টি হাতে পাওয়ার পর তা পরীক্ষা করে তার যাবতীয় পর্যবেক্ষণ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে জানায়। তারপরই তামিলনাড়ুর প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া যৌথভাবে ওই ছাত্রীর দেখানো পথে জায়গাটি ঘিরে নিয়ে সেখানে খননকার্য শুরু করে।
ছাত্রীটি যে ভুল বলছেনা তা মেনে নিয়েছেন তাবড় প্রত্নতাত্ত্বিকরাও। এমনকি এখানে চোল যুগের যদি আরও নিদর্শন পাওয়া যায় তাহলে ইতিহাস কিছুটা বদলে যেতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
এখন এক ছাত্রীর আবিষ্কারের হাত ধরে ইতিহাস কোন পথে হাঁটে তার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা