ধান জমির জল ফেলার জন্য খুঁড়তেই বেরিয়ে এল অতিপ্রাচীন গোল কুয়ো
ফের নয়া আবিষ্কার। এবার একটি প্রাচীন কুয়োর খোঁজ মিলল। অবশ্যই জায়গাটি ঘিরে ফেলেছে এএসআই। শুরু হয়েছে আশপাশে খননকাজ। অতি সাবধানে চলছে এই কাজ।
আশপাশে ধান জমি। সেখানে জলসেচের পর অতিরিক্ত জল হলে তা কাছেই একটি পড়ে থাকা জমিতে মাটি খুঁড়ে পুকুরের মত বানিয়ে রাখার ব্যবস্থা করছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই ছোট পুকুরের মত খোঁদল নির্মাণ করতে মাটি কাটার কাজ চলছিল।
২ ফুটের মত মাটি কাটা হতেই শ্রমিকরা দেখেন একটি কুয়োর মুখের মত কিছু উঁকি দিচ্ছে। মাটিতে চাপা পড়ে থাকলেও তাতে যথেষ্ট জল ভরা।
গোল কুয়োর মুখের মত দেখতে। ভাল করে দেখার পর সকলেই নিশ্চিত হন ওটা একটি গোল কুয়োর মুখ। যা জলে ভরে আছে। ওটি যে অতিপ্রাচীন তাও বুঝতে অসুবিধা হয়নি হতবাক কৃষকদের।
খবর দ্রুত পৌঁছয় এএসআই-এর কাছে। তারা সময় নষ্ট না করে সেখানে হাজির হয়। প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেখেন ওই কুয়োটির মুখ দেখা যাচ্ছে। যার মুখটি আরও বড় হতে পারে। তবে তার জন্য খননের দরকার রয়েছে। আশপাশেও এমন গোল মুখ কুয়ো রয়েছে কিনা তা দেখতে খনন শুরু হয়েছে।
যে জল দেখা যাওয়া কুয়োয় রয়েছে তা বার করে দিতে পারলে অন্য তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। তবে পুরো জল বার করে দিতে ১০ দিনের মত সময় লাগবে।
এই কুয়ো যে অতিপ্রাচীন তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই প্রত্নতাত্ত্বিকদের। তবে তার সময় ও কারা এটা কি কারণে ব্যবহার করতেন তা বোঝার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
কুয়োটি পাওয়া গিয়েছে তামিলনাড়ুর কিলাদি এলাকায়। এই কিলাদিতে আগেও অনেক প্রত্ন নিদর্শন পাওয়া গিয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা