১৯৯১ সালে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামপুদুরে নির্বাচনী জনসভায় পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে। সেই ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই। পরে ৭ জন রাজীব হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়। তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা। আদালতে দোষী সাব্যস্ত এই ৭ জনের একজন রবার্ট পায়াস। ইতিমধ্যেই ২৬ বছর গারদের পিছনে কাটিয়ে ফেলেছে সে। তার আত্মোপলব্ধি, আমৃত্যু তাকে এই গারদের পিছনেই কাটাতে হবে। কারণ রাজীব হত্যায় যুক্তদের মুক্তির জন্য জয়ললিতা সরকার সচেষ্ট হতে কিছুটা মুক্তির আশা দেখেছিল রবার্ট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ু সরকারের সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেয়। এরপর জেলের গারদে দিন কাটাতে কাটাতে শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা রবার্ট হাঁফিয়ে উঠেছে। ইচ্ছামৃত্যু চেয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে সে। জানিয়েছে এভাবে জেলের মধ্যে থাকতে থাকতে সে হাঁফিয়ে উঠেছে। এর চেয়ে মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে মুক্তি ভাল। তাই সে মুক্তি চায়। এই মর্মে পুজান সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে রাজীব হত্যাকারী রবার্ট পায়াস।