খেলনা পিস্তলে কিডন্যাপ, গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানাবে বাস্তবের এই ঘটনা
খেলনা পিস্তলেই অপহরণ করে ফেলল অপহরণকারীরা। নাটকীয়ভাবে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে তারা। অপহরণের পর্দা ফাঁসও করে পুলিশ। পুরো ঘটনা ঘটেছে একদম সিনেমার মত।
খেলনা পিস্তল ঠেকিয়েই ৩ জনকে অপহরণ করল অপহরণকারীরা। তবে লক্ষ্য ছিল ১ জনই। তাও আবার আসল পিস্তল নয়, নেহাতই একটি খেলনা পিস্তল দিয়ে ভয় দেখিয়ে।
ঘটনার সূত্রপাত একটি ফুলের বাজারে। কিংশুকের বাবার একটি ব্যাঙ্কোয়েট রয়েছে। সাজসজ্জার জন্য সেই ব্যাঙ্কোয়েটে ফুলের দরকার পড়েই। ফুল দিয়ে সাজানোর দায়িত্ব ছিল রিচা সবরওয়াল নামে এক যুবতীর।
গত ১৭ ডিসেম্বর কিংশুক ফুল নিতে রিচাকে সঙ্গে করে নিজের গাড়িতেই ওই বাজারে হাজির হন। কিংশুক ও রিচা ফুল পছন্দ করে কেনার পর গাড়িতে এসে বসেন।
কিংশুক তাঁর গাড়ির চালক জিতেন্দ্রকে নির্দেশ দিতে যাবেন এমন সময় কালো হুডওয়ালা পোশাক পরে একজন গাড়িতে এসে বসে পড়ে। তারপর একটি পিস্তল বার করে কিংশুকের মাথায় ঠেকিয়ে গাড়ি দিল্লির অশোক বিহারের দিকে নিয়ে যেতে বলে। গাজিপুরের ফুল বাজার থেকে গাড়ি বন্দুকধারীর নির্দেশে এগোতে থাকে।
গাড়ি চলতে চলতেই ওই ব্যক্তি একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল করে কিংশুকের বাবা বিকাশ আগরওয়ালকে। প্রথমে ছেলে সহ রিচা ও জিতেন্দ্রকে ফেরাতে ১ কোটি টাকা চায়। তারপর দর কষাকষি করে ৫০ লক্ষে রাজি হয়।
সেই টাকা একটি গাড়িতে করে এসে দিয়ে কিংশুক, রিচা এবং জিতেন্দ্রকে গাড়িতে বসিয়ে অশোক বিহার থেকে বাড়ি ফেরেন বিকাশ আগরওয়াল।
পরদিন তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তদন্তে নেমে গাজিপুর থেকে অশোক বিহার পর্যন্ত রাস্তার সব সিসিটিভি পরীক্ষা করে। ১৫০টির ওপর সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষার পর তারা একটি সন্দেহজনক স্কুটির খোঁজ পায়।
সেই স্কুটির মালিক কমল বনসলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরমিত সিংয়ের খোঁজ পায় পুলিশ। তাকেও গ্রেফতার করে জেরা করতে গুরমিত পুরো পরিকল্পনার কথা জানায়।
তখনই পুলিশ জানতে পারে কিংশুকের সঙ্গে যাকে অপহরণ করা হয়েছিল সেই রিচাই হল এই পুরো ঘটনার মাস্টার মাইন্ড। যার সঙ্গে তার মাও জড়িত।
এরাই খেলনা পিস্তল কিনে পুরো পরিকল্পনা সাজায়। তারপর কিংশুকের সঙ্গে নিজেও অপহৃত হয়, যাতে তাকে কেউ সন্দেহ না করতে পারে। পুলিশ ৪ জনকেই গ্রেফতার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা