মাটির তলায় ৯ তলা রাজপ্রাসাদ, অসামান্য আবিষ্কার
মোঘলদের হাত থেকে বাঁচতে নানা পথ বার করেছিলেন সে সময়ের অনেক রাজা। এমনই এক ভাবনা বেরিয়ে এল মাটির তলা থেকে। নতুন ইতিহাস লিখল অনন্য আবিষ্কার।
খননকার্য চালাচ্ছিল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। চলতি মাস থেকেই শুরু হয়েছে এএসআই-এর এই কাজ। আর সেই খোঁড়াখুঁড়ি করতে গিয়ে যা মাটির তলা থেকে উঁকি দিল তা কার্যত চমকে দিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিকদেরও।
মাটি যতই খোঁড়া হয়েছে ততই বেরিয়ে এসেছে এক অতিকায় রাজ প্রাসাদের চূড়া। তারপর এক এক করে ফ্লোর বা তলা মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছে।
এ পর্যন্ত পড়ে সকলের মনে হতেই পারে যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাটির তলায় চলে যায় এই রাজপ্রাসাদ। কিন্তু বাস্তবটা একদম অন্য।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এ রাজপ্রাসাদ বানানোই হয়েছিল মাটির তলায়। মাটির তলায় ৯ তলা প্রাসাদ তৈরি করা হয়েছিল সাড়ে ৫০০ বছর আগে।
সে সময় ভারতে মোঘলরা রাজত্ব করছে। ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুরের নবরত্নগড়ে তখন শাসন চলছে নাগা বা নাগাবংশী রাজত্বের। সেই বংশের রাজা দুর্জন সাল সবচেয়ে বেশিদিন শাসন করেছিলেন।
মনে করা হচ্ছে ১৫৭০ সালের আশপাশে তিনিই মোঘলদের হাত থেকে বাঁচতে এই মাটির তলার রাজপ্রাসাদ বানিয়েছিলেন। যাতে মোঘলরা যদি আক্রমণও করে তাহলে রাজা সহ রাজপ্রাসাদের সকলে লুকিয়ে বাঁচতে পারেন।
এমনকি যদি তারপরেও মোঘলরা এই প্রাসাদের খোঁজ পেয়ে যায় তাহলে রাজপ্রাসাদ থেকে একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। সেই সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলেছে ঠিকই, তবে তার অন্য মুখ কোথায় বার হচ্ছে তা এখনও জানা বাকি।
খননকার্য চলছে। এই ৯ তলা রাজপ্রাসাদের হাত ধরেই এই এলাকার নাম নবরত্নগড় হয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা