তুষারহীন বর্ষশেষ কাটাতে হবে ভূস্বর্গকে, আরও পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
ভূস্বর্গে এই সময়টা তো তুষারপাতেরই সময়। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হানার পর তুষারপাতে মতি নেই আবহাওয়ার। ফলে তুষারহীন বর্ষশেষই কাটাতে হবে ভূস্বর্গকে।
কাশ্মীর ও লাদাখে এবার নভেম্বর থেকেই তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে চুটিয়ে। প্রতিদিনই প্রায় তুষারপাত হয়েছে। তরতর করে নেমেছে পারদ।
দ্রাসে পারদ মাইনাস ১৮ ডিগ্রিতে পৌঁছে যায়। কিন্তু তারপরেই ডিসেম্বরের শেষের দিক এসে সেখানে হানা দেয় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যার জেরে পারদ চড়ে। দ্রাসে গরম বেড়ে পারদ পৌঁছয় মাইনাস ১৩ ডিগ্রিতে।
এভাবেই কাশ্মীরের অন্যত্রও পারদ চড়ে। সেই দুর্যোগ এখন অনেকটা কেটেছে। ফলে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে বর্ষশেষের দিনটায় শুকনোই থাকবে উপত্যকার আবহাওয়া।
কিন্তু শুকনো থাকার পাশাপাশি তুষারপাতও হবে না। ফলে এখানে যে পর্যটকরা বর্ষশেষ কাটাতে এসেছেন বা আসছেন তাঁদের তুষারপাত বিহীন বর্ষবরণের রাত কাটাতে হবে।
বর্ষশেষে তুষারপাত না হলেও ঠান্ডা কিন্তু ফের জাঁকিয়েই পড়তে শুরু করেছে কাশ্মীর ও লাদাখে। প্রবল ঠান্ডায় কাশ্মীরে অনেকে স্কি করতেও হাজির হন। তাঁরা অবশ্য তুষারপাত না হলেও বরফের ওপর স্কি করা থেকে বঞ্চিত হবেন না।
কারণ গুলমার্গে পাহাড়ের ঢাল সাদা পুরু বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে। সেখানে স্কি করার আনন্দ চুটিয়েই উপভোগ করতে পারবেন সকলে।
দ্রাসে ফের পারদ নেমে পৌঁছে গেছে মাইনাস ১৭ ডিগ্রির নিচে। কার্গিলে পারদ নেমেছে মাইনাস ১৪.৩ ডিগ্রিতে। লেহ শহরে পারদ পৌঁছেছে মাইনাস ১৪.৭ ডিগ্রিতে। অন্যদিকে গুলমার্গে পারদ এখন মাইনাস ১০.৪। শ্রীনগরে রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ২.৩ ডিগ্রি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা