৪০ লক্ষ টাকার ঘড়ি থমকে দিল বিমানবন্দরের যাত্রী পরীক্ষা
একটা ৪০ লক্ষ টাকার ঘড়িতেই হুলস্থূল হয়ে গেল। সুরক্ষাকর্মীরাও নিজেদের অবস্থানে স্থির রইলেন। পাল্টা দেখানো হল রাজধানীতে চেনা জানার ভয়ও।
হাতে থাকা একটা ঘড়িতেই থমকে গেল বিমানবন্দরের সুরক্ষার কাজ। এক যাত্রী দিল্লি যাওয়ার জন্য আসেন বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানে বাকি যাত্রীদের সঙ্গে তিনিও লাইন দিয়ে দাঁড়ান।
সিআইএসএফ যাত্রীদের বিমানে ওঠার আগে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পরীক্ষা করে থাকে। সেখানে ওই ব্যক্তির পরীক্ষা শুরু হতে যে সিআইএসএফ আধিকারিক পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তিনি তাঁকে হাতের ঘড়িটি খুলে একটি ট্রেতে রাখতে বলেন। এতেই বেঁকে বসেন ওই ব্যক্তি।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন ওই ঘড়িটার দাম ৪০ লক্ষ টাকা। রোলেক্সের ওই ঘড়ি তিনি ট্রেতে রাখার পর চুরি গেলে কে দেখবে? কিন্তু সিআইএসএফ কর্মীরাও পাল্টা জানিয়ে দেন হয় তিনি ঘড়ি খুলে পরীক্ষার জন্য ট্রেতে রাখবেন, নয়তো তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবেনা।
তর্ক শুরু হয়ে যায়। এগিয়ে আসেন সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা অন্য আধিকারিকরাও। অন্য যাত্রীরা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। বিরক্তি নিয়েই দেখতে থাকেন কি হচ্ছে।
এদিকে ওই ব্যক্তি তখন সিআইএসএফ কর্মীদের রীতিমত ভয় দেখাতে শুরু করেছেন। দিল্লিতে তাঁর ওপর মহলে অনেক চেনাশোনা আছে বলে হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন সুরক্ষাকর্মীরা।
অবশেষে দীর্ঘ সময় এমন চলার পর ওই ব্যক্তি হার মানতে বাধ্য হন। হাত থেকে রোলেক্স খুলে পরীক্ষার জন্য ট্রেতে রাখেন। ওই ব্যক্তি পরে দিল্লি উড়েও যান।
তাঁকে কেবল সতর্ক করে এবারের মত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার জন্য সিআইএসএফ কর্মীরা অন্য যাত্রীদের থেকে যথেষ্ট তারিফ পান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা