ডাকে সাড়া দিচ্ছেনা চিন্টু, পিন্টুরা, পুলিশের মাথায় হাত
প্রথমে এড়িয়ে যায় পুলিশ। পরে প্রবল বিক্ষোভে চিন্টু, পিন্টুদের খুঁজতে বার হয়। কিন্তু যে কটাকে ধরে এনেছে পুলিশ তারা কেউ নাম ধরে ডাকলে সাড়া দিচ্ছেনা।
মহা ফাঁপরে পড়েছে পুলিশ। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ১৫টাকে ধরে আনলেও তারা এখন মালিকের ডাকে সাড়া দিচ্ছেনা। ফলে মালিকরা বলছেন কিছুতেই ওদের ঘরে তুলবেন না।
মালিকদের দৃঢ় ধারণা ওরা তাঁদের চিন্টু, পিন্টু বা কালু নয়। নাহলে এত করে নাম ধরে ডাকার পরেও একবার মুখ ঘুরিয়ে তাকাল না কেন?
তাঁদের দাবি, যেখান থেকে হোক নিয়ে এসে তাঁদের বললে চলবে না। তাঁরা তখনই ওদের ঘরে নেবেন যখন তারা নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেবে।
গত কয়েকদিনে রাজস্থানের হনুমানগড় জেলায় হৈচৈ পড়ে গেছে। অনেকের গাধা যাচ্ছে হারিয়ে। হারিয়ে যাওয়ার পর তাদের আর খোঁজ মিলছে না।
এমন করে ৭০টি গাধা এখনও পর্যন্ত বেপাত্তা। ফলে তাদের মালিকরা পুলিশে অভিযোগ জানান। তাঁদের দাবি, পুলিশ প্রথমে তাঁদের অভিযোগ পেয়েও খোঁজ করতে যায়নি। পরে তাঁরা পুলিশ স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর অবশেষে গাধা খুঁজতে আসরে নামে পুলিশ।
পুলিশ অনেক খুঁজে ১৫টি গাধাকে ধরে আনে। তারপর মালিকদের ডেকে তাঁদের গাধা বেছে নিতে বলে। মালিকরা তাঁদের গাধাদের নাম করে ডাকতে থাকেন। যাতে তাঁর গাধা তাঁর ডাকে সাড়া দেয়। আর তিনি গাধার ভিড় থেকে নিজের গাধাটিকে চিনে নিতে পারেন।
এখানেই হয় সমস্যা। গাধাদের কারও নাম চিন্টু, কারও পিন্টু, কারও কালু এবং এমন অনেক নাম। কিন্তু যেই যে নামে ডাকুন না কেন কোনও গাধাই ফিরে তাকাচ্ছে না। তাই গাধার মালিকরা জানিয়েছেন তাঁদের গাধাই এনে দিতে হবে। যে কোনও গাধা এনে ধরিয়ে দিলে হবেনা।
তাঁরা এও জানিয়েছেন তাঁদের রুটিরুজির এক বড় ভরসা ওই গাধারা। একটা গাধার দাম ২০ হাজার টাকার ওপর। সেই হিসাবে এলাকায় এখন ১৪ লক্ষ টাকার গাধা বেপাত্তা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা