সদ্যোজাত শিশুর পায়ের সংখ্যায় চোখ কপালে উঠল চিকিৎসকদের
প্রসববেদনা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মা। চিকিৎসকেরা তাঁর সন্তান প্রসব করান। কিন্তু সদ্যোজাত শিশুর পায়ের সংখ্যা দেখে চোখ কপালে উঠল চিকিৎসকদের।
প্রসব যন্ত্রণা বাড়তে থাকায় পরিবারের লোকজন আর ঝুঁকি নেননি। রবিনা খাতুন নামে ওই মহিলাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন বৃহস্পতিবার সকালে। চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। রবিবার কিছু পরে এক ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেন রবিনা।
সন্তান প্রসবের পর কিন্তু চিকিৎসকেরা হতবাক হয়ে যান। যে শিশু সবে মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর আলো দেখল তার ২টির জায়গায় ৪টি পা! মানবশিশুর ৪টি পা তো থাকতে পারেনা। যদিও মা ও শিশু, ২ জনই সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গোপালগঞ্জ জেলার রেওতিত গ্রামে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়লে শিশুটিকে দেখতে ক্রমশ ভিড় বাড়তে থাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
গ্রামের লোকজনই ভিড় বাড়াতে থাকেন। কৌতূহল চরমে ওঠে। সকলেই চান ৪ পা থাকা শিশুটিকে একবার চোখের দেখা দেখতে।
এদিকে শিশুটি সুস্থ থাকলেও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আধুনিক পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। তাই চিকিৎসকেরা ঝুঁকি না নিয়ে শিশুটিকে গোপালগঞ্জের সদর হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসকদের দাবি এমন ঘটনা লাখে একটা ঘটে। প্রায় দেখাই যায়না এমন শিশু।
শিশুটির ৪টি পায়ের মধ্যে ৩টি পা রয়েছে দেহের সামনের দিকে। আর ১টি পা রয়েছে পিছনের দিকে। শিশুটির যাবতীয় তথ্য সিভিল সার্জন দফতরে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে কড়া পর্যবেক্ষণেও রেখে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা