দারুণ ফলনের অপেক্ষায় ভগবান বুদ্ধের মহাপ্রসাদ চাল
এ খাল কাটা হয়েছে সবে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে জল বয়েছে ১১ জেলায়। সেই জলেই দারুণ ফলনের আশার আলোয় উদ্ভাসিত ভগবান বুদ্ধের মহাপ্রসাদ বলে খ্যাত চাল।
সে যিশুখ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৬০০ বছর আগে কথা। সে সময় ভগবান বুদ্ধ যে পায়েস খেতেন তা তিনি নিজে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শিষ্যদেরও খাওয়াতেন। সেই পায়েস তৈরি হত কালা নমক নামে চাল দিয়ে। যে চালের রং কালো। ভাত রাঁধলে তার রংও কালোই হয়। কিন্তু তা যেমন ছিল সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিকর।
এই কালা নমক চালের পায়েসকে ভগবান বুদ্ধের মহাপ্রসাদ বলা হত। এখনও তাই বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই কালা নমক চাল মহাপ্রসাদ হিসাবে খ্যাত। এমনকি গত অক্টোবরে কুশিনগরে নতুন বিমানবন্দর উদ্বোধনে আগত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এক প্যাকেট করে কালা নমক চাল উপহার দেওয়া হয়েছিল।
সেই কালা নমক চালের চাহিদা এখন যেভাবে বাড়ছে তাতে কৃষকরাও এই চাল চাষ করায় প্রবল উৎসাহ পাচ্ছেন। ১১টি জেলা এই চাল চাষের জন্য জিআই ট্যাগও পেয়েছে। সেগুলি হল গোরক্ষপুর, দেবারিয়া, কুশিনগর, মহারাজগঞ্জ, বাস্তি, সন্ত কবীর নগর, সিদ্ধার্থনগর, বাহরাইচ, শ্রাবস্তী, বলরামপুর ও গোণ্ডা।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসেই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন একটি খালের। নাম দেওয়া হয়েছে সরযূ খাল। অযোধ্যা নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরযূ নদীর নামেই এই খালের নামকরণ হয়েছে।
এই খালের জল ৯টি জেলার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। যা থেকে সেচের প্রবল সুবিধা হয়েছে। এতেই আরও ভাল ফলনের আশায় এখন দিন গুনছেন কালা নমক চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা