৮১ দিনের টানা প্রতিবাদ, ধর্নামঞ্চে রাতে শুয়ে সকালে উঠলেন না মহিলা
৮১ দিন ধরে চলছিল প্রতিবাদ। তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে অনেকেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। রাতে ধর্নামঞ্চেই শুয়ে থাকছিলেন অনেকে। সেখানেই রাতে শুয়ে সকালে উঠলেন না মহিলা।
১৩ অক্টোবর স্থানীয় সকলে সিদ্ধান্ত নেন দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা প্রতিবাদে শামিল হবেন। স্থানীয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকলে একজোট হন। তারপর তার সামনের রাস্তার খানাখন্দে গিয়ে বসে পড়েন তাঁরা।
তাঁদের দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার হাল বেহাল। কিন্তু তা সারানোর কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। সেইসঙ্গে অনেক জায়গায় জল জমে থাকে দিনের পর দিন। সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ফলে নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করে তা ঠিক করতে হবে।
রাস্তা সারাই এবং নিকাশি সংস্কারে প্রশাসনিক উদাসীনতার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদ ১৩ অক্টোবর থেকে চলতেই থাকে। স্থানীয়রা টানা ধর্না দিতে থাকেন।
এভাবে প্রায় ৩ মাস কাটতে চললেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। তাই আন্দোলনকারীরাও স্থির করেছেন তাঁরাও এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থামাবেন না।
এই প্রতিবাদ মঞ্চে রানি দেবী নামেও এক মহিলা শামিল হয়েছিলেন। টানা ৮১ দিন ধরে ঠায় প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
৪৮ বছরের ওই মহিলা তাঁর ২২ বছরের ছেলের সঙ্গে থাকেন। ছেলের দাবি তাঁর মাকে তিনি বারবার মানা করেছিলেন ধর্না দিতে রাতে অন্তত না যেতে। কিন্তু তাঁর মা সেকথা না শুনে প্রতিদিনই যেতেন। গত শনিবারও যান। সেখানেই এক মহিলার পাশে শুয়ে ছিলেন তিনি ধর্নামঞ্চে।
প্রতিদিনের মত রবিবারও সকালে সেই মঞ্চে মায়ের জন্য চা নিয়ে হাজির হন তাঁর ছেলে। কিন্তু দেখেন তাঁর মা শুয়ে আছেন নিথর হয়ে। তাঁর সারা শরীর ঠান্ডা।
দ্রুত এক চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হয়। চিকিৎসক এসে পরীক্ষার পর রানি দেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রার ধানোলি গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা