প্রবল তুষারপাতে বিচ্ছিন্ন পার্বত্য সিমলা, কুলু, মানালি
প্রবল তুষারপাতে পুরু বরফের চাদরে ঢাকা পড়ল পার্বত্য সিমলা ও মানালি। চারিদিকে শুধু বরফের স্তূপ যা স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের মাথায় হাত ফেলেছে।
বাঙালি বলেই নয়, পর্যটকদের কাছে অতিপরিচিত নাম সিমলা, কুলু, মানালি। হিমাচল প্রদেশে চোখ জুড়োনো জায়গার অভাব নেই। কিন্তু বাঙালিদের মুখে মুখে ওই ৩টি জায়গার নামই প্রধানত ঘুরে বেড়ায়।
সেই ৩টি জায়গাই এখন জগতের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন। না সেখানে কেউ যেতে পারছেন, না আসতে পারছেন। ফলে গভীর সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষজন। চিন্তায় পড়েছেন বরফ দেখতে হাজির হওয়া পর্যটকেরাও।
তুষারপাত এত হয়েছে যে পার্বত্য সিমলা, কুলু ও মানালি বরফের পুরু চাদরে ঢাকা পড়েছে। সব সড়ক স্তব্ধ। রাস্তায় উঁচু হয়ে পড়ে আছে বরফের স্তূপ।
কিলোমিটারের পর কিলোমিটার জুড়ে একই অবস্থা। ফলে সেখান দিয়ে যাতায়াত অসম্ভব। হিন্দুস্তান-টিবেট রোডের একটা বড় অংশ বরফে ঢাকা পড়েছে। বোঝাই যাচ্ছেনা কোথায় রাস্তা।
ধালি থেকে সিমলা প্রায় ১০ কিলোমিটার। সেই ধালি থেকেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্নর জেলাও প্রায় পুরোটাই বরফের তলায় হারিয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এতটাই তুষারপাত হয়েছে এখানে।
কুলু-মানালি জাতীয় সড়কের হালও দুর্বিষহ। রাস্তায় অনেক জায়গাই ঢাকা পড়ে গেছে বরফের চাদরে। রাস্তা এবং রাস্তার আশপাশ সব একরকম লাগছে। শুধু বরফ আর বরফ। ফলে সেখানেও যান চলাচল বন্ধ।
এই পরিস্থিতি এখনও আরও কমপক্ষে ১ দিন বজায় থাকবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে পাহাড়ে প্রবল তুষারপাত ও সমতলে প্রবল বৃষ্টি শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। ফলে এখনও বরফের চাদর স্তর আরও পুরু হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা